ওমর ফারুক সাইম॥
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলাধীন গোহট উত্তর ইউনিয়নের হারিচাইল গ্রামে ১১৫৭/২০১৯নং ফৌজদারি মামলা এবং বিষয়ে বাদি পক্ষের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনার প্রেক্ষিতে বিবাদী পক্ষ কর্তৃক কার্য্য না করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম জাকারিয়া কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্বেও লকডাউন অমান্য করে বিবাদী পক্ষ পাকা ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, হারিচাইলের আব্দুল বারেকের ছেলে আবুল বাসার গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করছে। চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৯০নং হারিচাইল মৌজে সি.এস. খতিয়ান নং-৩০, আরএস খতিয়ান নং ৬৩, বিএস খতিয়ান নং ৩৫৪ ও ১০৫ নং ও ৫৪১ নং নামজারী জমা ১৩ শতক জায়গা হাসিমপুরের মনির হোসেন তার মা তাহেরা খাতুনের কাছ থেকে ১৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে হেবা ঘোষণা ও ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে হেবা ঘোষণা দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়। এবং ক্রয়ের পর থেকে মনির হোসেন জায়গাটি দখল করে আসছে।
আবুল বাসার গং মনির হোসেনের ১৩ শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে ভবন নির্মানের চেষ্টা করলে মনির হোসেন সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে ভবন নির্মান কাজ স্থগিত রাখে। পরবর্তীতে আবুল বাসার গং পুনরায় বেআইনিভাবে ভবন নির্মান কাজ শুরু করলে মনির হোসেন আবুল বাসারকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফোজধারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারায় চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১৫৭/২০১৯। আদালত ওই ভূমিতে স্থিতাবস্থা জারী করে।
স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিবাদী আবুল বাসার গং ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে বাদী মনির হোসেন ১৮৮ ধারায় প্রতিকার চেয়ে আদালতে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।
যার কারনে গত ১১ ডিসেম্বর চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম জাকারিয়া কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে ১১৫৭/২০১৯ এর আরজির এবং প্রতিপক্ষ কতৃক ওই ভূমিতে স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও অনুপ্রবেশ করে ভবন নির্মান কার্যক্রম চালু রাখায় সরজমিনে তদন্তক্রমে আগামী ১ মার্চ ২০২০ তারিখের পূর্বে প্রতিবেদন প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। এবং গত ৮ জানুয়ারি ২০২০ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নালিশী ভূমিতে রিসিভার নিয়োগ করেন। এবং ৮ জানুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একি মিত্র চাকমা অভিযুক্ত ভূমিটি সরজমিনে পরিদর্শন করে আবুল বাসার গংকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকদিন কাজ বন্ধ থাকলেও আবুল বাশার গং সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশে লকডাউন জারি করার পর ভবন নির্মান কাজ পুনরায় শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে মনির হোসেন জানান, বিবাদী আবুল বাসার গং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তার জায়গা দখল করে সেখানে ভবন নির্মানের চেষ্টা করলে তিনি আইনের সহায়তা নেন। এবং আবুল বাসার গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার ভূমিতে ভবন নির্মান কাজ করে যাচ্ছে। কয়েকবার এসিল্যান্ড ও থানা পুলিশ এসে ভবনটি নির্মান কাজ বন্ধ করে দিলে বিবাদীগন সম্প্রতি করোনাকে পুঁজি করে ভবন নির্মান কাজ শুরু করেছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে বিবাদী আবুল বাসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। মনির হোসেন জায়গা সম্পত্তি হারিয়ে পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।