অনলাইন ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় তালপাতার ঝুপড়িঘরে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহসিন উদ্দিনকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাকারিয়া ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচী।
অন্যদিকে এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর পরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাহফুজুর রহমান সেখানে যান। তিনি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে পুকুরের ভেতরের ঝুপড়িঘর থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখেন।
জানা গেছে, ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চাকরি করতেন এই নারী স্বাস্থ্যকর্মী। করোনাভাইরাসের কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দেয়। ২১ এপ্রিল ছুটিতে তিনি কোটালীপাড়ার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের লগন্ডা গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরেন।
বাড়ি ফেরার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত বাড়ৈয়ের নির্দেশে এলাকাবাসী ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে তার বাড়ির প্রায় ৪০০ মিটার দূরে একটি নির্জন স্থানে পুকুরের ভেতর তালপাতা দিয়ে ঝুপড়িঘর তৈরি করে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখেন।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে এই নারী স্বাস্থ্যকর্মী ওখানে অবস্থান করেন।
এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর গোটা উপজেলাব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাহফুজুর রহমান জানান, বিষয়টি খুবই অমানবিক। আমরা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই এবং ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে তার নিজের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখি।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান নির্বাহী অফিসার।