ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ধান কাটা নিয়ে যখন শঙ্কায় ছিলেন কৃষক, তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল সোমবার দিনভর কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়ন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ইউসুফ প্রধান ৪০ শতক জমির ধান কেটে দেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
কচুয়া উপজেলার যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো.জালাল উদ্দিন প্রধান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন বিপ্লব ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো সালাউদ্দিন সরকার পক্ষে থেকে ৪০ শতক পাকা ধান কেটে দেওয়া হয়। পরে কৃষকের বাড়ির উঠানেও পৌঁছে দেওয়া হয় ধান।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ জালাল প্রধান জানান, আমরা যুবলীগ ছাত্রলীগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কচুয়ার উন্নয়নের রূপকার মাটি ও মানুষের নেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে কয়েকদিন থেকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা হলে কৃষকদের ধান পানিতে তলিয়ে যাবে। এসব কথা চিন্তা করে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মিলে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা আজকে একজন কৃষকের ৪০শতক জমির ধান কেটে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে বাকি কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া হবে।
কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন সরকার বলেন,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ড.সেলিম মাহমুদ, ও জেলা ছাত্রালীগের নির্দেশনা মোতাবেক শ্রমিক সংকট দূর করতে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। আমরা সারা দিন কৃষকের ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। কচুয়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সে কাজ করে যাচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক না হবে আমাদের সেবা মূলক সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বোরহান উদ্দিন বিপ্লব বলেন, কৃষকের দুঃসময়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পাশে আছে। তাই চলতি মৌসুমে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিবে ছাত্রলীগ। এছাড়া কৃষকদের যে কোন ধরণের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আর করোনা সংকটে থাকা কর্মহীন, অহসায় মানুষদেরও সহযোগীতা করা অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগ।
কৃষক ইউসুফ মিয়া বলেন, এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। আয় রোজগারও কম। একদিকে করোনাভাইরাসের ভয়। অন্যদিকে বন্যার ভয়ও ছিল। যার কারণে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারব কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে এই বিষয়টি আমি আমার এলাকার সন্তান কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন বিপ্লবকে জানাই। পরে তিনি আমার ধান কেটে দেওয়ার কথা বলেন। সকালে এসে কচুয়া উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান মো.শাহ জালাল প্রধান জালাল ও কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন সরকারসহ কয়েকজন নেতা মিলে আমার ধান কাটা শুরু করেন। বিপদের সময় তারা ধান কেটে আমার যে উপকার করেছেন, এজন্য আমি তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক শুভ জীৎ দাস,রোকন খান,সদস্য মনির হোসেন,বাংলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম,উপজেলা যুবলীগ নেতা বাধন,ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল প্রধান,আহমেদ কাউছার,বিতারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ সরকার সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
।