হাজীগঞ্জে টিসিবির পণ্য কিনতে লজ্জা ভেঙে লাইনে মধ্যবিত্তরাও

  • আপডেট: ১০:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
  • ৩৮

হাজীগঞ্জ, ২২ এপ্রিল, বুধবার:

করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া সাধারণ চাকরিজীবীরা খরচ বাঁচাতে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য কিনতে নিম্নআয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বিক্রয় কেন্দ্রে ভিড় করতে শুরু করেছেন। লজ্জা ভেঙে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘ লাইনে। কিনছেন কম দামে পণ্য। তবে অনেক বিক্রয় কেন্দ্রেই সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়ম মানা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন সবাই। ফলে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে স্থানীয়দের।

আবার অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনেও দাঁড়িয়ে পণ্য পাচ্ছেনা। নির্ধারিত কখনো নির্ধারিত সময় কখনো পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরতে হয় খালি হতে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ট্রিডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে ২১ এপ্রিল থেকে। এতে ভিড় জমিয়েছেন মধ্যবিত্তরাও। নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের ভিড়ে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে হিমসিম খাচ্ছে বিক্রেতা। বিক্রেতারা বলছে, চাহিদা কম থাকায় এত মানুষকে পণ্য দিতে গিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারিভাবে বিপুল প্রচার ও কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা ভেস্তে যাচ্ছে। টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে সব নিরাপত্তা ভেঙে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আরো পড়ুন; জেলার ৮ উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদণ্ড ৩৪ হাজার ৮’শ টাকা

বুধবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিম বাজারস্থ বিশ্বরোড চৌরাস্তায় চিনি, ডাল, তেল, বুট (ছোলা) ও খেজুর বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। খোলাবাজারে ট্রাকে করে বিক্রি করা এসব খাদ্যপণ্য স্বল্পমূল্যে পেতে ভিড় করছে সহস্রাধীক নারী-পুরুষ। নিম্নআয়ের মানুষের তুলনায় মধ্যআয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে আর্থিকভাবে কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে। সাথে পবিত্র মাহে রমজান আসন্ন হওয়ায় ন্যায্যমূল্যের খাদ্য পণ্যেরও চাহিদা রয়েছে। তাই রমজান শুরুর পূর্বেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই চেষ্টা করছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। দীর্ঘ লাইনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে টিসিবির পণ্য কিনতে। এতে নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমিয়েছেন। চাহিদা অনুযায়ী কম থাকায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হিমসিম খাচ্ছে বিক্রেতা। টিসিবির পণ্য কিনতে না পেরে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েন টিসিবির বিক্রেতা। সেখানে প্রতি লিটার তেল ৮০ টাকা, প্রতিকেজি মুসুর ডাল ৮০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ৫০ টাকা ও ছোলা ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ ব্যাপারে নিরাত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা গত ২১ এপ্রিল থেকে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু করেছি। তবে, চাহিদার থেকে পণ্য কম বরাদ্দ হওয়ায় সবাইকে দিতে পারছেনা। এরমধ্যে নিম্নআয়ের মানুষের সাথে মধ্যবিত্তরাও পণ্য কিনতে ভিড় করায় হিমসিম খেতে হচ্ছে। আর দীর্ঘ লাইন হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতেও অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

হাজীগঞ্জে টিসিবির পণ্য কিনতে লজ্জা ভেঙে লাইনে মধ্যবিত্তরাও

আপডেট: ১০:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

হাজীগঞ্জ, ২২ এপ্রিল, বুধবার:

করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া সাধারণ চাকরিজীবীরা খরচ বাঁচাতে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য কিনতে নিম্নআয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বিক্রয় কেন্দ্রে ভিড় করতে শুরু করেছেন। লজ্জা ভেঙে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘ লাইনে। কিনছেন কম দামে পণ্য। তবে অনেক বিক্রয় কেন্দ্রেই সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়ম মানা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন সবাই। ফলে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে স্থানীয়দের।

আবার অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনেও দাঁড়িয়ে পণ্য পাচ্ছেনা। নির্ধারিত কখনো নির্ধারিত সময় কখনো পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরতে হয় খালি হতে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ট্রিডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে ২১ এপ্রিল থেকে। এতে ভিড় জমিয়েছেন মধ্যবিত্তরাও। নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের ভিড়ে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে হিমসিম খাচ্ছে বিক্রেতা। বিক্রেতারা বলছে, চাহিদা কম থাকায় এত মানুষকে পণ্য দিতে গিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারিভাবে বিপুল প্রচার ও কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা ভেস্তে যাচ্ছে। টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে সব নিরাপত্তা ভেঙে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আরো পড়ুন; জেলার ৮ উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদণ্ড ৩৪ হাজার ৮’শ টাকা

বুধবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিম বাজারস্থ বিশ্বরোড চৌরাস্তায় চিনি, ডাল, তেল, বুট (ছোলা) ও খেজুর বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। খোলাবাজারে ট্রাকে করে বিক্রি করা এসব খাদ্যপণ্য স্বল্পমূল্যে পেতে ভিড় করছে সহস্রাধীক নারী-পুরুষ। নিম্নআয়ের মানুষের তুলনায় মধ্যআয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে আর্থিকভাবে কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে। সাথে পবিত্র মাহে রমজান আসন্ন হওয়ায় ন্যায্যমূল্যের খাদ্য পণ্যেরও চাহিদা রয়েছে। তাই রমজান শুরুর পূর্বেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই চেষ্টা করছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। দীর্ঘ লাইনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে টিসিবির পণ্য কিনতে। এতে নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমিয়েছেন। চাহিদা অনুযায়ী কম থাকায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হিমসিম খাচ্ছে বিক্রেতা। টিসিবির পণ্য কিনতে না পেরে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েন টিসিবির বিক্রেতা। সেখানে প্রতি লিটার তেল ৮০ টাকা, প্রতিকেজি মুসুর ডাল ৮০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ৫০ টাকা ও ছোলা ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ ব্যাপারে নিরাত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা গত ২১ এপ্রিল থেকে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু করেছি। তবে, চাহিদার থেকে পণ্য কম বরাদ্দ হওয়ায় সবাইকে দিতে পারছেনা। এরমধ্যে নিম্নআয়ের মানুষের সাথে মধ্যবিত্তরাও পণ্য কিনতে ভিড় করায় হিমসিম খেতে হচ্ছে। আর দীর্ঘ লাইন হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতেও অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।