মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:
আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারণে বৈশাখ মাস চললেও ভোরে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ড বাতাস বইছে। আজ ৯ বৈশাখ। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে পুরো চাঁদপুর সঙ্গে শীতের দিনের মতোই শীতল পরিবেশ। শীতল বাতাসে ঠাণ্ডা অনুভূতি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুধু চাঁদপুরেই নয়, সরাদেশের চিত্র একই। ঢাকা, চট্রগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার সব জেলাতেই একই অবস্থা। সকালে শীতল বাতাস আর ঘুন কুয়াশা ছিল ভোরে। সুর্য উঠার সাথে সাথে কমছে কুয়াশাও। তবে সারাদেশে আকাশ মেঘলা রয়েছে।
অসময়ে এমন শীতল পরিবেশ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নতুন এক উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে গরমের মধ্যে এমন কুয়াশা ও ঠাণ্ডার কারণে বেড়ে যেতে পারে সর্দি হাঁচি কাশির উপসর্গ।
বিশেষ করে যাদের আগে থেকে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এমন ঠাণ্ডায় সেই সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বরাবরই জানিয়ে থাকেন। ফলে যারা নিয়মিত ইনহেলার কিংবা নেবুলাইজার গ্রহণ করেন তাদের শ্বাসকষ্ট এমন আকস্মিক কুয়াশা ও শীতের প্রভাবে একটু বাড়তে পারে।
এক্ষেত্রে তাদের আরেকটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে আগে থেকেই সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, অনেকের হয়তো রাতে গরমে কাটিয়ে ভোরে হঠাৎ করে এমন ঠাণ্ডা ও কুয়াশায় কিছুটা গলাব্যথাও দেখা দিতে পারে। সেজন্য আদা চা কিংবা গরম পানি পান করলে অনেকটাই আরাম মনে হবে।
এক্ষেত্রে চলমান করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উপসর্গ আর এই ঠাণ্ডা ও কুয়াশা থেকে তৈরি উপসর্গ অনেকটা মিলে যাওয়ায় মানুষের উৎকণ্ঠা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকা জরুরী। তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সব সর্দি-কাশি গলা ব্যথা মানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নয়, সিজনাল ফ্লু থেকেও এমনটা হতে পারে। এতে কিছুটা বাড়তি সতর্কতা থাকলে অনেকটা সুরক্ষা মিলবে।