চাঁদপুর, ১৬ এ্রপ্রিল, বৃহস্পতিবার:
করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুরের আরো ২জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের দু’জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ বছর বয়সী সিএনজি অটোরিক্সার চালক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং ৫ বছর বয়সী শিশু কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নরিংপুর গ্রামের ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিউমোনিয়াসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে শিশুটি মারা যায়। এরপর করোনা টেস্টের জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে শিশুটি করোনায় আক্রান্ত ছিল কিনা।
শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আকতার জানান, শিশুটির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট এলাকার ৫০ বছর বয়সী এক সিএনজি অটোরিক্সার চালক প্রায় ২ সপ্তাহ আগে মতলবে মোটরসাইকেল চালাতে যেয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়। বিশেষ করে তার মাথা মারাত্মকভাবে জখম হয়। চাঁদপুর সদর হাসপাতাল হয়ে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মারা যাওয়ার ২/৩ দিন আগে ওই ব্যক্তির পাশের সিটের একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মাধ্যমে তার মধ্যেও করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। মারা যাওয়ার পর তার শরীর থেকে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মৃতদেহ এখনো হাসপাতালে আছে।
সূত্র আরো জানায়, ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে পরিবারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো কাগজপত্র পাওয়া না যাওয়ায় করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।