আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের এক নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির নৌবাহিনী এক ঘোষণায় সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
থিওডোর রুজভেল্ট জাহাজে থাকা কোনো ব্যক্তি এই প্রথম করোনায় মারা গেলেন। মারা যাওয়া নাবিকের নাম এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি মার্কিন নৌবাহিনী।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনা ‘পজিটিভ’শনাক্ত হওয়ার পর ওই নাবিককে রণতরি থেকে সরিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামের একটি আইসোলেশন হাউসে নেয়া হয়েছিল। ৯ এপ্রিল তার অবস্থার অবনতি হয়। ১৩ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, করোনায় রণতরির প্রথম কোনো নাবিকের মৃত্যু হল।এ ঘটনায় তার দফতর গভীরভাবে মর্মাহত।
ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট এখন গুয়ামে অবস্থান করছে। রণতরির নাবিকদের ডাঙায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
রণতরিটির পাঁচ শতাধিক নাবিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মার্কিন নৌবাহিনী বলেছে, রণতরির ৯২ শতাংশ ক্রুর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর ৩ হাজার ৭২৪ জনের করোনা ‘নেগেটিভ’এসেছে।
রণতরিটিতে চার হাজারের বেশি ক্রু অবস্থান করছিলেন।
রণতরিটির কমান্ডার ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ারকে চলতি মাসের শুরুর দিকে বরখাস্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
রণতরিতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে মার্কিন নৌবাহিনী যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন অভিযোগ করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ হাজার ছড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেন, সবচেয়ে খারাপ সময় পার হয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এই মহামারী সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো দেশের তুলনায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার লোকের শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। সারা বিশ্বে যে সংখ্যাটা ১৮ লাখের মতো।
এই ভাইরাসে নিউইয়র্কে ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে জনসংখ্যাবহুল শহর নিউইয়র্কে ৮৪ লাখ মানুষের বাস।