হাজীগঞ্জ, ১৩ এপ্রিল, সোমবার:
নীরবে-নিভৃতে গোপনে দূঃস্থ অসহায় ও মধ্যবিত্ত মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সফল সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রোটা. আহসান হাবিব অরুন।
বর্তমানে মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও অসহায় এবং যারা মানুষের কাছে চাইতে পারেনা এমন মধ্যবিত্ত লোকদেরকে তিনি গোপনে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার প্রায় ৬০০ মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন এবং বিভিন্ন দলীয় নেতা=-কর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
আহসান হাবিব অরুন বলেন, এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে কাজ করতে হবে। যার যার তৌফিক অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন একদিন আমরা সবাই এই পৃথিবী থেকে চলে যাব। আমাদের উর্পাজিত অর্থ ও ঐশ্বয্র্য কোনো কিছুই আমাদের সাথে যাবে না, আমাদের কাজেও আসবেনা।
জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবীব অরুন বলেন, এই বিপদের সময় কর্মহীন মানুষ যাদের ঘরে খাবার নেই, তাদের ঘরে কিছু না কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারলে তাদের মন থেকে যে দোয়া আসবে সেই দোয়া আপনার নাজাতের কারণ হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের এ মহামারী করোনা ভাইরাস বিস্তার করার ফলে অঘোষিত লক ডাউন চলছে। দেশের প্রায় সকল জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলো কার্যত অচল। শহরে রাস্তা ঘাটে জনসমাগম কমে যাওয়ার ফলে দিনমজুরীদের আয় রোজগার একেবারেই নেই্ ফলে তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে দু’মুঠো খাওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে অভূক্ত দিন পার করা মানুষগুলোর জন্যই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
মহামারী পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিজেদের সংক্রমণের থেকে রক্ষা পেতে কর্মহীন ভাবে ঘর বন্ধী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন আয়ের হত দরিদ্র অসহায় দুঃস্থ এবং মধ্যবিত্তপরিবারগুলো যাদের দৈনিক আয় বন্ধ হয়ে গেছে তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
আহসান হাবীব অরুন বলেন, আমি অমৃত্যু মানুষের পাশে থাকবো। মানুষের বিপদ আপদে অতীতেও ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো। মানুষের জন্যই সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের দোয়া আমি সব সময় পাই। চেষ্ঠা করবো আরো বেশি বেশি অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে। আমি সকলের দোয়া কামানা করি।
আহসান হাবীব অরুন বলেন, দেশের বড় দুর্যোগ ১৯৯৮ সালের বন্যা, ২০০৪ সালের বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগের সময় মানুষকে সহযোগিতা করে আসছি।
তিনি বলেন, আমার দরজা হাজীগঞ্জবাসির জন্য সব সময় খোলা যেকোন সময় মানুষ, যেকোন সমস্যায় পড়ে আমাকে ডাকে আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। আমি হাজীগঞ্জ বাসির দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
