লকডাউনে হাজীগঞ্জে বিভিন্ন গ্রামে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর ! নেই করোনায় সচেতনতা

  • আপডেট: ১০:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
  • ২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিশ্ব করোনাভাইরাস যখন থমকে দাঁড়িয়ে আছে সবকিছুই এরইমধ্যে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া ও জনসমাগম । করোনা ভাইরাস এ সরকারের বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও মানতে নারাজ গ্রামের কতিপয় জুয়ারি যুব সমাজ এরা সবার ঊর্ধ্বে থেকে নিজেরাই সমাজকে ধ্বংস করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হাজীগঞ্জে উপজেলা বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখা মেলে এমন অসংখ্য জুয়ার আড্ডা।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০-১১ ওয়ার্ডে প্রতিদিনই প্রকাশ্যে বসে বৃদ্ধ থেকে কিশোর পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রুপে বসে খেলছে কখনো রাস্তা, কখনো বাড়ির আঙ্গিনা অবস্থান করছে। খোলা রয়েছে চায়ের দোকান । প্রশাসন কোন লোক গেলে কিছুক্ষণের জন্য সরে গিয়ে আবার অবস্থান নেয় গভীর রাত পর্যন্ত । কৌশল পাল্টিয়ে এখন আবার নিরিবিলি বাড়িতে ঘরের মধ্যেই খেলছে এই জুয়া। এলাকার কিছু সচেতন পরিবার লোকেরা ভয়ে বলতে পারে না। বলতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকে তাই প্রশাসনকে জানাতে ভয় পায় । একই চিত্র দেখা যায় বলাখাল চৌধুরী বাড়ির পাশে ও নিরিবিলি স্থানে ইদানিং বেড়েছে কিশোর গ্যাং এরা অবাধেই চলাফেরা করছে পুরো গ্রামে। নেই এদের মাস্ক। বিকেল হলে ধেররা, হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের রাস্তা ধরে নদীর দক্ষিণ পাশে জুয়ার আসর।

একই চিত্র দেখা যায় বড়কুল নদীর পাড় থেকে রামকানাই বিদ্যালয়ের আশেপাশে দেখা যায় জমিদার বাড়ি প্রাঙ্গণে। গ্রামে গ্ৰামে কিশোর যুবক বসে জুয়া আসর। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর বাজার সংলগ্ন বাজারের আশেপাশে বসে প্রতিদিন নিয়মিত বসে মাঝে মাঝে প্রশাসন ও গ্রামের মেম্বার বললে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। ওদের খেলা অনেক সময় খেলাকে কেন্দ্র করে চলে মারামারি। একই অবস্থা এই ইউনিয়নের একবারে পশ্চিম দিকের মৈশামুড়া, মালিগাও, কাশিমপুর, দেশগাও, চলছে রমরমা জুয়ার বাণিজ্য। জানা গেছে ইদানিং ঢাকা সহ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুয়াড়িরা হাজীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তারা অবসর সময় কাটানোর জন্য এটাকে ব্যবসা হিসাবে নিয়েছেন। প্রশাসন একার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে স্থায়ী সচেতন যুব সমাজ কে এগিয়ে আসতে হবে। মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৬৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

লকডাউনে হাজীগঞ্জে বিভিন্ন গ্রামে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর ! নেই করোনায় সচেতনতা

আপডেট: ১০:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিশ্ব করোনাভাইরাস যখন থমকে দাঁড়িয়ে আছে সবকিছুই এরইমধ্যে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া ও জনসমাগম । করোনা ভাইরাস এ সরকারের বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও মানতে নারাজ গ্রামের কতিপয় জুয়ারি যুব সমাজ এরা সবার ঊর্ধ্বে থেকে নিজেরাই সমাজকে ধ্বংস করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হাজীগঞ্জে উপজেলা বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখা মেলে এমন অসংখ্য জুয়ার আড্ডা।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০-১১ ওয়ার্ডে প্রতিদিনই প্রকাশ্যে বসে বৃদ্ধ থেকে কিশোর পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রুপে বসে খেলছে কখনো রাস্তা, কখনো বাড়ির আঙ্গিনা অবস্থান করছে। খোলা রয়েছে চায়ের দোকান । প্রশাসন কোন লোক গেলে কিছুক্ষণের জন্য সরে গিয়ে আবার অবস্থান নেয় গভীর রাত পর্যন্ত । কৌশল পাল্টিয়ে এখন আবার নিরিবিলি বাড়িতে ঘরের মধ্যেই খেলছে এই জুয়া। এলাকার কিছু সচেতন পরিবার লোকেরা ভয়ে বলতে পারে না। বলতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকে তাই প্রশাসনকে জানাতে ভয় পায় । একই চিত্র দেখা যায় বলাখাল চৌধুরী বাড়ির পাশে ও নিরিবিলি স্থানে ইদানিং বেড়েছে কিশোর গ্যাং এরা অবাধেই চলাফেরা করছে পুরো গ্রামে। নেই এদের মাস্ক। বিকেল হলে ধেররা, হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের রাস্তা ধরে নদীর দক্ষিণ পাশে জুয়ার আসর।

একই চিত্র দেখা যায় বড়কুল নদীর পাড় থেকে রামকানাই বিদ্যালয়ের আশেপাশে দেখা যায় জমিদার বাড়ি প্রাঙ্গণে। গ্রামে গ্ৰামে কিশোর যুবক বসে জুয়া আসর। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর বাজার সংলগ্ন বাজারের আশেপাশে বসে প্রতিদিন নিয়মিত বসে মাঝে মাঝে প্রশাসন ও গ্রামের মেম্বার বললে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। ওদের খেলা অনেক সময় খেলাকে কেন্দ্র করে চলে মারামারি। একই অবস্থা এই ইউনিয়নের একবারে পশ্চিম দিকের মৈশামুড়া, মালিগাও, কাশিমপুর, দেশগাও, চলছে রমরমা জুয়ার বাণিজ্য। জানা গেছে ইদানিং ঢাকা সহ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুয়াড়িরা হাজীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তারা অবসর সময় কাটানোর জন্য এটাকে ব্যবসা হিসাবে নিয়েছেন। প্রশাসন একার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে স্থায়ী সচেতন যুব সমাজ কে এগিয়ে আসতে হবে। মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।