কচুয়ায় তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্রকরে কলেজ ছাত্রীরসহ আহত ৪ ও বাড়ীঘর ভাংচুর

  • আপডেট: ০১:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০
  • ২৩

কচুয়া প্রতিনিধি ॥

কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় কলেজ ছাত্রীসহ আহত ৪ ও ভাড়ীঘর ভাংচুর অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার দুপুরে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা ব্যাপারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় হামলা শিকার কলেজ ছাত্রী শাহিনুর আক্তার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীরা জানান, উপজেলার শাসনখোলা এলাকার মো. সফিকুল ইসলামের মেয়ে শাহিনুর আক্তার সাথে একই গ্রামের ইউপি সদস্য মো.আবুল হোসেন ব্যাপারী ছেলের বউ উরমী আক্তার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথার কাটাকাটি হলে এক পর্যায় ইউপি সদস্য মো. আবুল হোসেন ব্যাপারী, ছেলে রিয়াদ হোসেন, ও তার স্ত্রী ঊরর্মী আক্তার দলবল নিয়ে শাহিনুর আক্তার বাড়ীতে কোনো পুরুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে মহিলাদের উপর অতর্কিত হামলা ও বাড়ীঘর ভাংচুর করেন। এতে শামছি আক্তার (২২), শরিফুল ইসলাম (১৫) , শাহিদা বেগম (৪৫), গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহত কলেজ ছাত্রী শাহিনুর আক্তার বলেন, ইউপি সদস্য আবুল হোসেনসহ তার পরিবার লোকজন অনেক দিন যাবত আমাদের পরিবার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাত করে আসছে, আমার বাবা একজন সহজসরল লোক, আমার বড় কোন ভাই নেই, তিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে ক্ষমতা বল দেখিয়ে আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেন। গত বুধবার দুপুরে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ছেলের বউ ঊরর্মী আক্তার সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি বাড়িতে চলে আসলে তারা দলবল নিয়ে আমাদের পরিবারের কোনো পুরুষ না থাকায় আমার মা শাহিদা বেগম, বড় বোন শামছি আক্তার, ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম ও আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও আমাদের বসতঘর ভাংচুর করেন। তারা প্রায় সময় আমাদের পরিবার উপর জীবন নাসের হুমকিও দেয়।

বিবাদী ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলের বউ ঊরর্মী আক্তার সাথে শাহিনুর আক্তার সাথে ঝগড়া লাগলে আমি ও আমার ছেলে রিয়াদ হোসেন গিয়ে ঝগড়া সমাধন করে দেই। কোনো মারামারি হয়নি, অভিযোগ ভিক্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।

হামলার এঘটনা সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাশ শুভ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানমের হস্তপেক্ষ কামনা করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লোকজন।

এদিয়ে ইউপি সদস্য মো.আবুল হোসেন বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একাদিক ভাবে অবিযোগ রয়েছে।

 

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

কচুয়ায় তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্রকরে কলেজ ছাত্রীরসহ আহত ৪ ও বাড়ীঘর ভাংচুর

আপডেট: ০১:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০

কচুয়া প্রতিনিধি ॥

কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় কলেজ ছাত্রীসহ আহত ৪ ও ভাড়ীঘর ভাংচুর অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার দুপুরে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা ব্যাপারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় হামলা শিকার কলেজ ছাত্রী শাহিনুর আক্তার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীরা জানান, উপজেলার শাসনখোলা এলাকার মো. সফিকুল ইসলামের মেয়ে শাহিনুর আক্তার সাথে একই গ্রামের ইউপি সদস্য মো.আবুল হোসেন ব্যাপারী ছেলের বউ উরমী আক্তার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথার কাটাকাটি হলে এক পর্যায় ইউপি সদস্য মো. আবুল হোসেন ব্যাপারী, ছেলে রিয়াদ হোসেন, ও তার স্ত্রী ঊরর্মী আক্তার দলবল নিয়ে শাহিনুর আক্তার বাড়ীতে কোনো পুরুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে মহিলাদের উপর অতর্কিত হামলা ও বাড়ীঘর ভাংচুর করেন। এতে শামছি আক্তার (২২), শরিফুল ইসলাম (১৫) , শাহিদা বেগম (৪৫), গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহত কলেজ ছাত্রী শাহিনুর আক্তার বলেন, ইউপি সদস্য আবুল হোসেনসহ তার পরিবার লোকজন অনেক দিন যাবত আমাদের পরিবার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাত করে আসছে, আমার বাবা একজন সহজসরল লোক, আমার বড় কোন ভাই নেই, তিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে ক্ষমতা বল দেখিয়ে আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেন। গত বুধবার দুপুরে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ছেলের বউ ঊরর্মী আক্তার সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি বাড়িতে চলে আসলে তারা দলবল নিয়ে আমাদের পরিবারের কোনো পুরুষ না থাকায় আমার মা শাহিদা বেগম, বড় বোন শামছি আক্তার, ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম ও আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও আমাদের বসতঘর ভাংচুর করেন। তারা প্রায় সময় আমাদের পরিবার উপর জীবন নাসের হুমকিও দেয়।

বিবাদী ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলের বউ ঊরর্মী আক্তার সাথে শাহিনুর আক্তার সাথে ঝগড়া লাগলে আমি ও আমার ছেলে রিয়াদ হোসেন গিয়ে ঝগড়া সমাধন করে দেই। কোনো মারামারি হয়নি, অভিযোগ ভিক্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।

হামলার এঘটনা সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাশ শুভ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানমের হস্তপেক্ষ কামনা করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লোকজন।

এদিয়ে ইউপি সদস্য মো.আবুল হোসেন বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একাদিক ভাবে অবিযোগ রয়েছে।