মতলবে ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

  • আপডেট: ০৫:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
  • ২৭
মতলব প্রতিনিধি:
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নে ১০ টাকা মূল্যের চাউল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ৬ এপ্রিল এই ইউনিয়নে চাউল বিক্রয়ের সময় হতদরিদ্ররা চাউল না পেয়ে ফিরে গেছেন বলে অভিযোগ করেন। সরেজমিনে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ১০ টাকা মূল্যের চাউল বিক্রয়ের ডিলার শাহআলম হতদরিদ্রদের মাঝে চাউল বিক্রি না করে অন্যত্র চাউল বিক্রি করে দিচ্ছেন। এছাড়া চাউল ক্রয় করতে আসা একাধিক ব্যক্তি চাউল ক্রয় করতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরে গেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ডিলার তাদের চাউল না দিয়ে পয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হুমায়ূন কবিরের কাছে ১৯ বস্তা চাউল বিক্রি করে দিয়েছে। চাউল না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে ওই ইউনিয়নের ধূলাউরা গ্রামের মৃত কেরামত আলী ছেলে শাহজাহান, আঃ মান্নানের স্ত্রী হাওয়া বেগমসহ রাহেলা বেগম, রুহুল আমিন,সলেমান মিয়াজী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে চাউল বিক্রি না করেন ডিলার ওই মাষ্টারের কাছে ১৯ বস্তা চাউল বিক্রি করে দিয়েছে। সে গাড়িতে করে প্রথমে ৭ বস্তা এবং পরে ১২ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে। এই নিয়ে চারবার হলো আমরা কোনো চাউল কিনতে পারিনি।
এদিকে ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মুন্নি আক্তার জানান, আমার সামনে দিয়েই হুমায়ূন মাষ্টার ১২ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে।
শিক্ষক হুমায়ূন কবির বলেন, আমি ৭ বস্তা চাউল নিয়ে কার্ডধারীদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। এ ছাড়া কোনো চাউলের বস্তার কথা আমার জানা নেই।
ডিলার শাহ আলম বলেন, সঠিক নিয়মে চাউল বিক্রি করা হচ্ছে। কার্ডের বাহিরে কাউকে চাউল দেওয়া হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক বলেন, এক ব্যক্তি একাই এত বস্তা চাউল কোনো ভাবেই নিতে পারে না। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

মতলবে ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট: ০৫:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
মতলব প্রতিনিধি:
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নে ১০ টাকা মূল্যের চাউল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ৬ এপ্রিল এই ইউনিয়নে চাউল বিক্রয়ের সময় হতদরিদ্ররা চাউল না পেয়ে ফিরে গেছেন বলে অভিযোগ করেন। সরেজমিনে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ১০ টাকা মূল্যের চাউল বিক্রয়ের ডিলার শাহআলম হতদরিদ্রদের মাঝে চাউল বিক্রি না করে অন্যত্র চাউল বিক্রি করে দিচ্ছেন। এছাড়া চাউল ক্রয় করতে আসা একাধিক ব্যক্তি চাউল ক্রয় করতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরে গেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ডিলার তাদের চাউল না দিয়ে পয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হুমায়ূন কবিরের কাছে ১৯ বস্তা চাউল বিক্রি করে দিয়েছে। চাউল না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে ওই ইউনিয়নের ধূলাউরা গ্রামের মৃত কেরামত আলী ছেলে শাহজাহান, আঃ মান্নানের স্ত্রী হাওয়া বেগমসহ রাহেলা বেগম, রুহুল আমিন,সলেমান মিয়াজী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে চাউল বিক্রি না করেন ডিলার ওই মাষ্টারের কাছে ১৯ বস্তা চাউল বিক্রি করে দিয়েছে। সে গাড়িতে করে প্রথমে ৭ বস্তা এবং পরে ১২ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে। এই নিয়ে চারবার হলো আমরা কোনো চাউল কিনতে পারিনি।
এদিকে ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মুন্নি আক্তার জানান, আমার সামনে দিয়েই হুমায়ূন মাষ্টার ১২ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে।
শিক্ষক হুমায়ূন কবির বলেন, আমি ৭ বস্তা চাউল নিয়ে কার্ডধারীদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। এ ছাড়া কোনো চাউলের বস্তার কথা আমার জানা নেই।
ডিলার শাহ আলম বলেন, সঠিক নিয়মে চাউল বিক্রি করা হচ্ছে। কার্ডের বাহিরে কাউকে চাউল দেওয়া হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক বলেন, এক ব্যক্তি একাই এত বস্তা চাউল কোনো ভাবেই নিতে পারে না। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।