তালতলী প্রতিনিধি:
পরকীয়া প্রেমের জের ধরে সংসার ফেলে প্রবাসী স্বামীর বন্ধুর সাথে গচ্ছিত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে মুন্নী বেগম নামের এক গৃহবধূ। এ ব্যাপারে স্বামী বাদী হয়ে তালতলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার হরিণ খোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উভয়ের পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হরিণ খোলা গ্রামের মো. হালিম মৌলাভীর ছোট ছেলে ইব্রাহিমের সাথে ৪ বছর আগে পাশ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার আমিরাবাদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী মতিন হাওলাদারের কন্যা মোসা. মুন্নী বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুখেই চলছিল তাদের সংসার। পরে ইব্রাহিম মালয়েশিয়া চলে গেলে তার বন্ধু মাসুম বিল্লাহর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী মুন্নী বেগম। বন্ধুর অনুপস্থিতিতে অনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে সুকৌশলে মুন্নীকে দিয়ে অর্থও হাতিয়ে নেয় মাসুম।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৩ বছর প্রবাসে কাটিয়ে গত জানুয়ারি মাসে দেশে আসলে স্ত্রী মুন্নী বেগমের কাছে টাকা পয়সার হিসাব চায় ইব্রাহীম। তখন সে জানায় তার নিজ নামে ৫ কাঠা জমি কিনেছে আর কিছু টাকা তিনি খরচ করেছেন। এরপর মুন্নী বেগমের ফোনে সারাক্ষণ ইব্রাহিমের বন্ধু উপজেলার পঁচা কোরালিয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙা এলাকার শহিদুল ফকিরের ছেলে মাসুম বিল্লাহর নাম্বার থেকে কল আসতো। ইমুতে অনেক কিছু লিখে পাঠাতো । এ নিয়ে তাদের মধ্যে মাসুম বিল্লাহর পরিবারসহ শালিস বৈঠকও হয়। বৈঠকে তাদের অবৈধ সম্পর্ক না রাখার জন্যও বলা হয়।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) মালয়েশিয়া প্রবাসী ইব্রাহীম জানায়, পরিবারিক শালিস বৈঠকের পরেও তার বন্ধু মাসুমের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখে স্ত্রী মুন্নী বেগম। গত ২৮ মার্চ প্রতিদিনের ন্যায় তার পরিবারের লোকজন এশার নামাজরত থাকলে সুযোগ বুঝে প্রেমিক মাসুমের সাথে পালিয়ে যায় সে। এ সময় আশপাশ বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে মটর সাইকেল নিয়ে মাসুমকে আসতে দেখেছে বলে জানায় এক প্রতিবেশী। পরে ঘরে গিয়ে দেখে মুন্নীর ব্যবহার করা জিনিসপত্র নেই। পরে সে খবর পেয়ে স্থানীয় বাজার থেকে এস দেখে জমি ক্রয় করার জন্য বাড়িতে রাখা নগদ ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ অলঙ্কার নিয়ে স্ত্রী মুন্নী বেগম পালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় ইব্রাহীম আরও জানায়, এ তুচ্ছ ঘটনায় ওই রাতেই তালতলী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ দায়ের করার কারণে তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে মাসুম। এতে মানসিক চাপ ও জীবন নাশের আতঙ্কে আছেন তিনি।
এ ঘটনার পর থেকেই মাসুম বিল্লাহ ও মুন্নী বেগম পলাতক আছেন। তবে ফোনে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ আছে বলে অভিযোগ করেন ইব্রাহীম।