মতলব উত্তরে হাম রুবেলা টিকাদন কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা

  • আপডেট: ০৪:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
  • ৩০

মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তরে হাম রুবেলা টিকাদন কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে আয়োজিত এডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ছেঙ্গারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল মান্নান বেপারী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইসমাইল হোসেন, ডা. আল-আমিন প্রমুখ।
আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপ, ১৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ ২য় ধাপ ও ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল তৃতীয় ধাপ টিকাদান কর্মসূচী চলবে।
সভায় বক্তারা জানান, হাম রুবেলা ভাইরাসজনিত দুটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে অতি দ্রুত ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যেকোন বয়সের মানুষের হাম-রুবেলা হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যেই হাম-রুবেলার প্রকোপ, জটিলতা এবং মৃত্যু বেশি দেখা যায়। হামের জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব ও বধিরতা অন্যতম।
হাম রুবেলা রোগের প্রকোপ থেকে সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদন কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে নিয়মিত টিকাদন কর্মসূচিতে ৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১ম ডোজ এমআর টিকা ও ১৫ মাস বয়সী সকল শিশুকে ২য় ডোজ এমআর টিকা সংযুক্ত করেছে।
এছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে হাম রোগভিত্তিক সার্ভেইল্যান্স এবং ২০১২ সাল থেকে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম (সিআরএস) সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম চালু করেছে সরকার।
বক্তারা আরও জানান, ৯ মাস থেকে শুরু করে ১০ বছরের কমবয়সী শিশু। পূর্বে হামের টিকা বা এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও অথবা হাম বা রুবেলা রোগে আক্রান্ত হলেও ঐ বয়সের সকল শিশুকে ১ ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

মতলব উত্তরে হাম রুবেলা টিকাদন কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা

আপডেট: ০৪:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০

মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তরে হাম রুবেলা টিকাদন কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে আয়োজিত এডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ছেঙ্গারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল মান্নান বেপারী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইসমাইল হোসেন, ডা. আল-আমিন প্রমুখ।
আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপ, ১৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ ২য় ধাপ ও ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল তৃতীয় ধাপ টিকাদান কর্মসূচী চলবে।
সভায় বক্তারা জানান, হাম রুবেলা ভাইরাসজনিত দুটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে অতি দ্রুত ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যেকোন বয়সের মানুষের হাম-রুবেলা হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যেই হাম-রুবেলার প্রকোপ, জটিলতা এবং মৃত্যু বেশি দেখা যায়। হামের জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব ও বধিরতা অন্যতম।
হাম রুবেলা রোগের প্রকোপ থেকে সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদন কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে নিয়মিত টিকাদন কর্মসূচিতে ৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১ম ডোজ এমআর টিকা ও ১৫ মাস বয়সী সকল শিশুকে ২য় ডোজ এমআর টিকা সংযুক্ত করেছে।
এছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে হাম রোগভিত্তিক সার্ভেইল্যান্স এবং ২০১২ সাল থেকে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম (সিআরএস) সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম চালু করেছে সরকার।
বক্তারা আরও জানান, ৯ মাস থেকে শুরু করে ১০ বছরের কমবয়সী শিশু। পূর্বে হামের টিকা বা এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও অথবা হাম বা রুবেলা রোগে আক্রান্ত হলেও ঐ বয়সের সকল শিশুকে ১ ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া হবে।