মো. জামাল হোসেন:
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত ঘরের টাকা আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ এক বিধবা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার’র আদালতে অভিযোগ করেন- উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের উল্যাশ্বর গ্রামের চারু পাটোয়ারী বাড়ির মৃত নুরুল হকের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৪৫)।
অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের প্রভাবশালী ও আওয়ামীলীগ নামধারী কিছু ব্যক্তি এলাকায় দাপট দেখিয়ে যে কোনো সরকারী কাজে তাদের ভাগ নিশ্চিত করেন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন ওই এলাকার নীরিহ মানুষগুলো। অনেকেই তাদের ভয়ে মুখ বন্ধ রাখেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রিপন ও সাত্তারের হুমকি-ধমকিতে ভীতস্থ রাবেয়া তার পরিবার নিয়ে জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাবেয়া খাতুনের টাকা আত্মসাতকারী একই গ্রামের ধামের বাড়ির মৃত অমূল্য চন্দ্র ধামের পুত্র রিপন চন্দ্র ধাম, চারু পাটোয়ারী বাড়ির মৃত রঞ্জন আলীর পুত্র আবদুস সাত্তার ও মৃত ওমর আলীর পুত্র আনসার আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে রাবেয়া খাতুন বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বরাণাপন্ন হয়েছি। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনাটি জানিয়েছি এবং তাদের মাধ্যমেই সাংবাদিকগন আমার বাড়ি আসেন আর সব কিছু জেনে পত্রিকায় দেন। ঘটনাটি পত্রিকায় আসার পর রিপন, সাত্তার এবং আনসার আলী আমাকে ও আমার মেয়েদের নানান হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বিধবা এবং অসহায় এক মা। আমি আমার জন্য চিন্তা করছি না। আমার বিবাহযোগ্য কন্যাদের নিয়ে চিন্তা করছি। কে দিবে আমাদের নিরাপত্তা, কে দিবে আমাদের আশ্রয়- আবেগঘন কথাগুলো বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যারা এমন কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ গত মঙ্গলবার এ ঘটনাটি স্থানিয়, জাতীয় ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিভিন্ন মহলে সাড়া জাগে।
এঘটনায় এলাকাবাসী বলেন, ঘটনাটি সত্য হলেও স্থানিয় আওয়ামী যুবলীগ নেতা রিপন ও সাত্তারের হুকমি চলমান রয়েছে। তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন, ঝামেলাটুকু চুকালে রাবেয়া ও তার মেয়েদের গ্রাম ছাড়া করবো এবং তারা ইজ্জত নিয়ে পালাতে পারবে না।
কি হবে আমাদের, ওরা কি করবে, আমরা আওয়ামীলীগ করি- এমন দাম্ভিকতা নিয়ে বুক ফুলিয়ে চলে তারা।
এ ধরণের হুকমির মাঝে অসহায় পরিবারটির নিরাপত্তা দিবে কে? এমন প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর।
তারা আরও বলেন, রিপন খুব খারাপ লোক। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদউল্লাহ্ চৌধুরী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেনের বড়াই দেখিয়ে চলে। আওয়ামীলীগ সাধারণ মানুষের, অসহায় মানুষের। তাই এমন জগন্য কাজে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা আওয়ামীলীগকে করা উচিত বলে তারা মনে করেন।