ঝুপড়িতে বাস করে ঘরের স্বপ্ন দেখছেন রাশিদা খাতুন

  • আপডেট: ০১:৪১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ৩০

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াঃ
শাহরাস্তির বেরকী গ্রামে মাথা গুজানোর ঠাঁই একটি ঘরের স্বপ্ন দেখছেন রাশিদা খাতুন (২৭)। জরাজীর্ণ ঝুপড়ির নিচে দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। স্বামী ফারুক হোসেন পেশায় রিক্সা চালক। ঘরে বসবাস করার স্বপ্ন থাকলেও সাধ্য নেই। একটি ঘরের জন্য অশ্রুসিক্ত নয়নে এমনি আকুতি জানান উপজেলার রায়শ্রী (দঃ) ইউনিয়নের বেরকী গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানর ছেলে মোঃ ফারুক হোসেনের স্ত্রী রাশিদা খাতুন।
রিক্সা চালক স্বামীর অস্বচ্ছল পরিবারে দুটি সন্তান নিয়ে অসহায়ের জীবন যাপন করে আসছে। তাদের একটি ছেলে একটি মেয়ে। গ্রামের পশ্চিম উত্তর পাশের মাঠে ৩ শতক জমির উপর কোন রকমে ঝুঁপড়ি বানিয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করে আসছেন রাসিদা খাতুন।
রাশিদা খাতুন বলেন, জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে সংগ্রাম করে আসছি। বৃষ্টি হলে ঝুপড়ির মধ্যে পানি পড়ে। তখন জামা-কাপড় ভিজে যায়। আমি শুনেছি অসহায় ও গরীবের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাদের জমি আছে ঘর নাই, ঘর করার সামর্থ নাই এমন লোকদের ঘর করে দিচ্ছে। আমাদের এমপি স্যারও না কি জায়গা না থাকায় অনেককে জায়গা কিনে ঘর করে দিয়েছে। আমার তো একমাত্র সম্বল ৩শতক জায়গা আছে। আমার স্বামীর সামর্থ না থাকায় ঘরতে পারছি না। তাই এ ঝুপড়ির মধ্যে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছি। একটি বসত ঘরের জন্য আমি তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করি। আমার মত অসহায় আর কেউ আছে কি না তা জানিনা।
একটি সরকারি উদ্যোগে নির্মিত ঘর ফেলে বদলে যাবে ঘর এবং আমার পরিবারের জীবন বদলে যাবে এ দরিদ্র পরিবারের জীবনচিত্র।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাশিদার স্বামী অত্যন্ত গরীব ও অসহায়। আমি তাদের সম্পর্কে জানি। একটি সরকারি ঘর হলে তাদের আবাসন দূর্দশা দূর হবে। তাই এই ঘরটি দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তিনি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

ঝুপড়িতে বাস করে ঘরের স্বপ্ন দেখছেন রাশিদা খাতুন

আপডেট: ০১:৪১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াঃ
শাহরাস্তির বেরকী গ্রামে মাথা গুজানোর ঠাঁই একটি ঘরের স্বপ্ন দেখছেন রাশিদা খাতুন (২৭)। জরাজীর্ণ ঝুপড়ির নিচে দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। স্বামী ফারুক হোসেন পেশায় রিক্সা চালক। ঘরে বসবাস করার স্বপ্ন থাকলেও সাধ্য নেই। একটি ঘরের জন্য অশ্রুসিক্ত নয়নে এমনি আকুতি জানান উপজেলার রায়শ্রী (দঃ) ইউনিয়নের বেরকী গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানর ছেলে মোঃ ফারুক হোসেনের স্ত্রী রাশিদা খাতুন।
রিক্সা চালক স্বামীর অস্বচ্ছল পরিবারে দুটি সন্তান নিয়ে অসহায়ের জীবন যাপন করে আসছে। তাদের একটি ছেলে একটি মেয়ে। গ্রামের পশ্চিম উত্তর পাশের মাঠে ৩ শতক জমির উপর কোন রকমে ঝুঁপড়ি বানিয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করে আসছেন রাসিদা খাতুন।
রাশিদা খাতুন বলেন, জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে সংগ্রাম করে আসছি। বৃষ্টি হলে ঝুপড়ির মধ্যে পানি পড়ে। তখন জামা-কাপড় ভিজে যায়। আমি শুনেছি অসহায় ও গরীবের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাদের জমি আছে ঘর নাই, ঘর করার সামর্থ নাই এমন লোকদের ঘর করে দিচ্ছে। আমাদের এমপি স্যারও না কি জায়গা না থাকায় অনেককে জায়গা কিনে ঘর করে দিয়েছে। আমার তো একমাত্র সম্বল ৩শতক জায়গা আছে। আমার স্বামীর সামর্থ না থাকায় ঘরতে পারছি না। তাই এ ঝুপড়ির মধ্যে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছি। একটি বসত ঘরের জন্য আমি তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করি। আমার মত অসহায় আর কেউ আছে কি না তা জানিনা।
একটি সরকারি উদ্যোগে নির্মিত ঘর ফেলে বদলে যাবে ঘর এবং আমার পরিবারের জীবন বদলে যাবে এ দরিদ্র পরিবারের জীবনচিত্র।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাশিদার স্বামী অত্যন্ত গরীব ও অসহায়। আমি তাদের সম্পর্কে জানি। একটি সরকারি ঘর হলে তাদের আবাসন দূর্দশা দূর হবে। তাই এই ঘরটি দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তিনি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।