রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির ঐকান্তিক প্রচেস্টায় শাহরাস্তিবাসির স্বপ্ন পুরণ

  • আপডেট: ০৬:০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৮

শাহরাস্তি প্রতিনিধি:

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব.ররফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির ঐকান্তিক প্রচেস্টায় শাহরাস্তিবাসি ফিরে পেয়েছে দীর্ঘ দিনের ঝরাঝর্ণ সড়কের স্বপ্নের মহাসড়ক।

শান্তিপূর্ণ উপজেলা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে হযরত পীর শাহরাস্তি বোগদাদী (রঃ)-এর সমাধি স্থল। যার নামে গঠিত হয় এ উপজেলা। রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা তীর্থস্থান মেহার কালী বাড়ি। সে সুবাদে এ উপজেলা দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সব সময়। বর্তমান সরকারের আমলে এ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি উপজেলার প্রধান সড়কের। বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের প্রধান দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এ সড়কটি। মাঝে মাঝে সড়কটির কাজ করা হলেও তা কয়েক মাসের মধ্যেই আবার স্বরূপে ফিরে আসে, যার ফলে জনগণের ভোগান্তি কোনো ভাবেই হ্রাস পায়নি। মাঝে মাঝে উক্ত সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে ঘন্টার পর ঘন্ট সড়কটি বন্ধ হয়ে যেতো। বৃষ্টি হলে হাঁটু পানিতে আর রোদে থাকতো বালুতে ঢাকা একটি এলাকা। ১০ মিনিটের পথ পার হতে আধা ঘন্টা সময় লেগে যেতো। বাসা থেকে বের হতেই অনেকেই আতঙ্কে সময় পার করতেন।

সড়কটির সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষ্যে দিন-রাত চিন্তায় ব্যস্ত থাকতেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। অবশেষে গত বছর একনেকে পাস হয় উক্ত সড়কটি। সড়কটির কাজের সূচনা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, সড়কটি যাতে না হয় সেজন্যে একটি মহল চেষ্টা করেছিলো। তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সকল বাধা উপেক্ষা করে অবশেষে সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় তিনি শোকরিয়া আদায় করেন। দীর্ঘ এক বছর কাজ শেষে অবশেষে দৃশ্যমান হলো শাহরাস্তির প্রধান সড়কের নতুন রূপ। ১শ’ ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার শেষ প্রান্ত থেকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক পর্যন্ত সড়কটির এখন সম্পূর্ণ নতুন এক রূপ। শাহরাস্তি উপজেলার নরহ-পানচাইল থেকে শুরু করে চিতোষী বাজার হয়ে উঘারিয়া সূচিপাড়া কালি বাড়ি, অপরদিকে শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা থেকে কালী বাড়ি হয়ে শোরসাক লোটরা-রামগঞ্জের পানিওয়ালা বাজার পর্যন্ত সড়কটি এখন সম্পূর্ণ নতুন। আসছে বর্ষা মৌসুমে আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না শাহরাস্তি উপজেলার মানুষকে। এ সড়কটি উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত শাহরাস্তি উপজেলার গর্ব সকলের অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম প্রমাণ করেলেন তিনি শাহরাস্তির উন্নয়নে কতটা আন্তরিক। এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় বরাদ্দটি তিনি জনগণের চলাচলের জন্যে উৎসর্গ করেছেন। শাহরাস্তি উপজেলা সদর এখন স্বপ্নের শহরে পরিণত হয়েছে। হঠৎ করে কেউ এ এলাকায় প্রবেশ করেলে অতীতের কথা মনে থাকার কথা নয়। এ অবদান শুধু মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ শাহরাস্তি উপজেলা এতোটা আলোকিত তার প্রতি শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবাসা জানিয়েছে সর্বস্তরের জনগণ।

নতুন এ সড়কটি সুন্দর রাখতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। যানবাহনের গতি কমিয়ে চলতে হবে। রাস্তার উপর পার্কিং করে জনদুর্ভোগ এড়াতে হবে। প্রভাবশালীরা যাতে রাস্তা দখল করে কোনো ইমারত নির্মাণ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। যান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিবহন সংগঠনগুলোকে তৎপর হতে হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাতে প্রাণহানি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই শাহরাস্তির প্রধান অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির ঐকান্তিক প্রচেস্টায় শাহরাস্তিবাসির স্বপ্ন পুরণ

আপডেট: ০৬:০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

শাহরাস্তি প্রতিনিধি:

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব.ররফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির ঐকান্তিক প্রচেস্টায় শাহরাস্তিবাসি ফিরে পেয়েছে দীর্ঘ দিনের ঝরাঝর্ণ সড়কের স্বপ্নের মহাসড়ক।

শান্তিপূর্ণ উপজেলা হিসেবে পরিচিত শাহরাস্তি উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে হযরত পীর শাহরাস্তি বোগদাদী (রঃ)-এর সমাধি স্থল। যার নামে গঠিত হয় এ উপজেলা। রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা তীর্থস্থান মেহার কালী বাড়ি। সে সুবাদে এ উপজেলা দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সব সময়। বর্তমান সরকারের আমলে এ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি উপজেলার প্রধান সড়কের। বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের প্রধান দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এ সড়কটি। মাঝে মাঝে সড়কটির কাজ করা হলেও তা কয়েক মাসের মধ্যেই আবার স্বরূপে ফিরে আসে, যার ফলে জনগণের ভোগান্তি কোনো ভাবেই হ্রাস পায়নি। মাঝে মাঝে উক্ত সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে ঘন্টার পর ঘন্ট সড়কটি বন্ধ হয়ে যেতো। বৃষ্টি হলে হাঁটু পানিতে আর রোদে থাকতো বালুতে ঢাকা একটি এলাকা। ১০ মিনিটের পথ পার হতে আধা ঘন্টা সময় লেগে যেতো। বাসা থেকে বের হতেই অনেকেই আতঙ্কে সময় পার করতেন।

সড়কটির সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষ্যে দিন-রাত চিন্তায় ব্যস্ত থাকতেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। অবশেষে গত বছর একনেকে পাস হয় উক্ত সড়কটি। সড়কটির কাজের সূচনা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, সড়কটি যাতে না হয় সেজন্যে একটি মহল চেষ্টা করেছিলো। তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সকল বাধা উপেক্ষা করে অবশেষে সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় তিনি শোকরিয়া আদায় করেন। দীর্ঘ এক বছর কাজ শেষে অবশেষে দৃশ্যমান হলো শাহরাস্তির প্রধান সড়কের নতুন রূপ। ১শ’ ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার শেষ প্রান্ত থেকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক পর্যন্ত সড়কটির এখন সম্পূর্ণ নতুন এক রূপ। শাহরাস্তি উপজেলার নরহ-পানচাইল থেকে শুরু করে চিতোষী বাজার হয়ে উঘারিয়া সূচিপাড়া কালি বাড়ি, অপরদিকে শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা থেকে কালী বাড়ি হয়ে শোরসাক লোটরা-রামগঞ্জের পানিওয়ালা বাজার পর্যন্ত সড়কটি এখন সম্পূর্ণ নতুন। আসছে বর্ষা মৌসুমে আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না শাহরাস্তি উপজেলার মানুষকে। এ সড়কটি উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত শাহরাস্তি উপজেলার গর্ব সকলের অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম প্রমাণ করেলেন তিনি শাহরাস্তির উন্নয়নে কতটা আন্তরিক। এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় বরাদ্দটি তিনি জনগণের চলাচলের জন্যে উৎসর্গ করেছেন। শাহরাস্তি উপজেলা সদর এখন স্বপ্নের শহরে পরিণত হয়েছে। হঠৎ করে কেউ এ এলাকায় প্রবেশ করেলে অতীতের কথা মনে থাকার কথা নয়। এ অবদান শুধু মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ শাহরাস্তি উপজেলা এতোটা আলোকিত তার প্রতি শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবাসা জানিয়েছে সর্বস্তরের জনগণ।

নতুন এ সড়কটি সুন্দর রাখতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। যানবাহনের গতি কমিয়ে চলতে হবে। রাস্তার উপর পার্কিং করে জনদুর্ভোগ এড়াতে হবে। প্রভাবশালীরা যাতে রাস্তা দখল করে কোনো ইমারত নির্মাণ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। যান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিবহন সংগঠনগুলোকে তৎপর হতে হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাতে প্রাণহানি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই শাহরাস্তির প্রধান অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।