অনলাইন ডেস্ক:
টেকনাফ নয়, এবার কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন্স ভ্রমণে যাওয়া যাবে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামের জাহাজে করে। এতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে, যা যাত্রীদের কক্সবাজার থেকে সড়কপথে কয়েক ঘণ্টা ব্যয়ে টেকনাফে গিয়ে জাহাজ ধরার ঝামেলা থেকে বাঁচাবে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সমুদ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে ৫৮২ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার এ জাহাজটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় ‘সমুদ্র যাত্রা’ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হচ্ছে। জাহাজটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে জাহাজটি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন্স নৌ রুটে নিয়মিত চলাচল শুরু করবে।
প্রায় ৫২ নটিক্যাল মাইল (৯৫ কিলোমিটার) সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সেন্টমার্টিন্স পৌঁছাতে জাহাজটির ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
প্রতিদিন সকাল সাতটায় জাহাজটি সেন্টমার্টিন্সের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আবার বিকেল তিনটায় কক্সবাজারের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন্স ছেড়ে আসবে জাহাজটি।
কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছরা (এয়ারপোর্ট রোড) বিআইডব্লিওটিএ ঘাট থেকে যাত্রা করবে জাহাজটি। জাহাজ থেকে সমুদ্র, পাহাড় আর সূর্যাস্ত দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।
কিছুদিন পর সেন্টমার্টিন্স থেকে ফেরার সময় আরো ১ ঘণ্টা পেছানো হবে বলেও জানা গেছে।
জাহাজটিতে রয়েছে মোট ১৭ টি লাক্সারি শ্রেণির কেবিন। তার মধ্যে ইকোনমি শ্রেণির কেবিন (দ্বিতীয় শ্রেণি), এর ভাড়া ১২ হাজার টাকা ও লাক্সারি শ্রেণির (ভিআইপি) কেবিনের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি কেবিন দুইজনের জন্য প্রযোজ্য। নৌযানটিতে ভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় ৫১০ টি আসন ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে প্রশস্ত কনফারেন্স হল রুম, ডাইনিং স্পেস, সি ভিউ ব্যালকনি।
প্রায় ৫৫ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার প্রশস্তের জাহাজে মেইন প্রোপালেশন ইঞ্জিন হচ্ছে দুইটি। যার এক একটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি করে। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটে চলবে।
জাহাজের ইকোনমি আসনের (দ্বিতীয় শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া জনপ্রতি দুই হাজার টাকা। এছাড়া বিজনেস ক্লাস আসনের (প্রথম শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫শ’ টাকা।