এক বছর পর মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুণরায় সিজার শুরু

  • আপডেট: ০২:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩৮

মনিরুল ইসলাম মনির :
দীর্ঘ ১ বছর বেশি সময়ের পরে মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুনরায় সিজারিয়ান অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে। এর ফলে মতলব উত্তর’সহ পাশ্ববর্তী উপজেলার মানুষ সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী নারী সিজারিয়ান সুবিধা পাবেন। গতকাল বুধবার সকালের দিকে রীণা আক্তার নামের একজন প্রসুতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে এ অপারেশন থিয়েটার পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন এর তত্ত্বাবধানে অপারেশনটি পরিচালিত হয়। শিশুর ব্যবস্থপনায় ছিলেন- শিশু কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. আকলিমা আক্তার, এনেস্থেসিয়া ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ডা. ফাতেমা ওয়ালিজা হ্যাপি এবং ডা. বাকি বিল্লাহ। অপারেশন থিয়েটার ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান ও ডা.আল আমিন। আরো উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স সুচিত্রা মন্ডল ও শামিমা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি থাকা স্বত্বেও ডাক্তার সঙ্কটের কারণে একবছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। মানুষ অসহায় হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে যেতে হতো। এখন থেকে এ হাসপাতালে সিজারসহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হবে। তিনি আরো বলেন, সিজারের মাধ্যামে জন্ম নেয়া নবজাতক ও শিশু মা দু’জনেই সুস্থ আছেন।
রীণা আক্তারের অভিভাবকরা বলেন, রোগীর আবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তখন ডাক্তার লেলীনের শরণাপন্ন হলে তিনি সিজার করার পরামর্শ দেন। রীণা আক্তারের স্বামী সিজারের কথা শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সবকিছু বুঝিয়ে বলার পর তিনি রাজি হলে বুধবার সকালে ১০টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলা হাসপাতালে রীণা আক্তারের সিজার সম্পন্ন হয়।
নবজাতকের বাবা বলেন, হাসপাতালে সিজার করায় টাকা লাগেনি। এখানে সিজার করাতে না পারলে চাঁদপুর অথবা প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যেতে হতো। কম পক্ষে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হতো। এ সুবিধা চালু করায় এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, আমি নিজেই একজন সার্জন, আমি এ উপজেলায় যোগদানের পর নিজ উদ্যোগে পুণরায় সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করলাম। এতে এ উপজেলার গরীব, অসহায় হতদরিদ্র রোগীদের উপকার হবে। এখন থেকে নিয়মিত হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মিথেন বলেন, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আলহাজ্ব নুরুল আমিন রুহুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস পুনরায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সিজারিয়ান অপারেশনের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

এক বছর পর মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুণরায় সিজার শুরু

আপডেট: ০২:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০

মনিরুল ইসলাম মনির :
দীর্ঘ ১ বছর বেশি সময়ের পরে মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুনরায় সিজারিয়ান অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে। এর ফলে মতলব উত্তর’সহ পাশ্ববর্তী উপজেলার মানুষ সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী নারী সিজারিয়ান সুবিধা পাবেন। গতকাল বুধবার সকালের দিকে রীণা আক্তার নামের একজন প্রসুতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে এ অপারেশন থিয়েটার পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন এর তত্ত্বাবধানে অপারেশনটি পরিচালিত হয়। শিশুর ব্যবস্থপনায় ছিলেন- শিশু কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. আকলিমা আক্তার, এনেস্থেসিয়া ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ডা. ফাতেমা ওয়ালিজা হ্যাপি এবং ডা. বাকি বিল্লাহ। অপারেশন থিয়েটার ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান ও ডা.আল আমিন। আরো উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স সুচিত্রা মন্ডল ও শামিমা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি থাকা স্বত্বেও ডাক্তার সঙ্কটের কারণে একবছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। মানুষ অসহায় হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে যেতে হতো। এখন থেকে এ হাসপাতালে সিজারসহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হবে। তিনি আরো বলেন, সিজারের মাধ্যামে জন্ম নেয়া নবজাতক ও শিশু মা দু’জনেই সুস্থ আছেন।
রীণা আক্তারের অভিভাবকরা বলেন, রোগীর আবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তখন ডাক্তার লেলীনের শরণাপন্ন হলে তিনি সিজার করার পরামর্শ দেন। রীণা আক্তারের স্বামী সিজারের কথা শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সবকিছু বুঝিয়ে বলার পর তিনি রাজি হলে বুধবার সকালে ১০টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলা হাসপাতালে রীণা আক্তারের সিজার সম্পন্ন হয়।
নবজাতকের বাবা বলেন, হাসপাতালে সিজার করায় টাকা লাগেনি। এখানে সিজার করাতে না পারলে চাঁদপুর অথবা প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যেতে হতো। কম পক্ষে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হতো। এ সুবিধা চালু করায় এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, আমি নিজেই একজন সার্জন, আমি এ উপজেলায় যোগদানের পর নিজ উদ্যোগে পুণরায় সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করলাম। এতে এ উপজেলার গরীব, অসহায় হতদরিদ্র রোগীদের উপকার হবে। এখন থেকে নিয়মিত হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মিথেন বলেন, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আলহাজ্ব নুরুল আমিন রুহুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস পুনরায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সিজারিয়ান অপারেশনের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।