নতুনেরকথা ডেস্ক:
১০৭ বছর পর টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রক্ষায় চুক্তি ডুবে যাওয়া প্রমোদতরী টাইটানিককে সমুদ্র তল দেশে রক্ষায় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
১০৭ বছর পর টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রক্ষায় চুক্তিশত বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক এখনো মানুষের মাঝে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। সমুদ্রের নিচে বিশাল প্রমোদতরীটির ধ্বংসস্তূপ নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই। টাইটানিকের সেই ধ্বংসাবশেষ রক্ষার্থে চুক্তি স্বাক্ষর হলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে।
বিবিসি জানায়, হিমশৈলে ধাক্কা লেগে তলিয়ে যাওয়ার ১০৭ বছর পরে ঐতিহাসিক জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ বাঁচাতে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি হলো। এর মাধ্যমে ব্রিটিশ ও মার্কিন সরকার সমুদ্রের নিচে পড়ে থাকা টাইটানিকের রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল উত্তর আটলান্টিক মহাসমুদ্রে বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলিয়ে যায় টাইটানিক। যাত্রী ও জাহাজের কর্মচারী মিলিয়ে মৃত্যু হয় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের।
১৯৮৫ সালে কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রের আড়াই মাইল গভীরে জাহাজটির ধ্বংসস্তূপ প্রথম দেখতে পাওয়া যায়।
সমুদ্রের নিচের মাটিকে ক্রমশই ডুবে যাচ্ছে টাইটানিক। ধাতু ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়া আরও ভেঙেচুরে ফেলছে জাহাজটির কাঠামো। সেটিকে রক্ষার জন্যই মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকার এই চুক্তি সই করল।
হারল্যান্ড অ্যান্ড উলফ কোম্পানির তৈরি জাহাজটি কখনোই ডুবতে পারে না বলে, এমনটিই ধারণা করা হয়েছিল। সেই সময় এটিই ছিল বৃহত্তম যাত্রীবাহী জাহাজ।
সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যেতে এর প্রথম সফরেই সমুদ্রে তলিয়ে যায় টাইটানিক। সেই সময় জাহাজে থাকা ২২২৩ জনের মধ্যে ৭০৬ জন প্রাণে বেঁচে যায়।