তিউনিসিয়ায় সাগরে ১২ দিন ধরে ভাসছে ৬৪ বাংলাদেশি

  • আপডেট: ০৭:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯
  • ৮০

অনলাইন ডেস্ক :

তিউনিসিয়ায় শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা আটকা পড়েছে। ওই নৌকায় থাকা ৭৫ শরণার্থীর মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি। মঙ্গলবার রেড ক্রিসেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই নৌকাটি তীরে ভেরার অনুমতি পায়নি। ফলে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে নৌকা নিয়ে সাগরেই ভাসছেন শরণার্থীরা।

মিসরের একটি নৌকা তিউনিসিয়ার সাগর থেকে ওই শরণার্থীদের উদ্ধার করে। তবে তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের শরণার্থী কেন্দ্রে জনাকীর্ণ অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আর কোন শরণার্থীদের জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। ফলে ওই নৌকাটি উপকূলীয় জারজিস শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়েছে।

সরকারি একটি সূত্র বলছে, ওই নৌকায় থাকা শরণার্থীরা খাবার এবং চিকিৎসা সেবা নিতে চাচ্ছেন না। তারা ইউরোপে যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দিতেই এমন বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়েছেন তারা।

রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মোংগি স্লিম বলেন, বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ওই নৌকার শরণার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়েছিলেন কিন্তু অনেকেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি রয়টার্সকে বলেন, ১২ দিন ধরে এভাবে সাগরে ভেসে থাকার কারণে ওই শরণার্থীদের অবস্থা ভালো নয়। লিবিয়া থেকে যাত্রা করা ওই শরণার্থীদের মধ্যে ৬৪ জনই বাংলাদেশি। বাকিরা মরক্কো, সুদান এবং মিসরের নাগরিক।

মানব পাচারকারীদের মাধ্যমে আফ্রিকান শরণার্থীদের ইউরোপে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রধান একটি পয়েন্ট হচ্ছে লিবিয়া উপকূল। এই উপকূল দিয়েই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে।

গত মাসে ইউরোপের উদ্দেশে লিবিয়া ছেড়ে যাওয়া একটি নৌকা উল্টে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে কমপক্ষে ৬৫ শরণার্থীর মৃত্যু হয়।

চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এই রুটেই প্রায় ১৬৪ শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। গত কয়েক বছরের প্রথম কয়েক মাসের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতি তিনজনের একজন মারা যাচ্ছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

তিউনিসিয়ায় সাগরে ১২ দিন ধরে ভাসছে ৬৪ বাংলাদেশি

আপডেট: ০৭:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক :

তিউনিসিয়ায় শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা আটকা পড়েছে। ওই নৌকায় থাকা ৭৫ শরণার্থীর মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি। মঙ্গলবার রেড ক্রিসেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই নৌকাটি তীরে ভেরার অনুমতি পায়নি। ফলে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে নৌকা নিয়ে সাগরেই ভাসছেন শরণার্থীরা।

মিসরের একটি নৌকা তিউনিসিয়ার সাগর থেকে ওই শরণার্থীদের উদ্ধার করে। তবে তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের শরণার্থী কেন্দ্রে জনাকীর্ণ অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আর কোন শরণার্থীদের জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। ফলে ওই নৌকাটি উপকূলীয় জারজিস শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়েছে।

সরকারি একটি সূত্র বলছে, ওই নৌকায় থাকা শরণার্থীরা খাবার এবং চিকিৎসা সেবা নিতে চাচ্ছেন না। তারা ইউরোপে যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দিতেই এমন বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়েছেন তারা।

রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মোংগি স্লিম বলেন, বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ওই নৌকার শরণার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়েছিলেন কিন্তু অনেকেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি রয়টার্সকে বলেন, ১২ দিন ধরে এভাবে সাগরে ভেসে থাকার কারণে ওই শরণার্থীদের অবস্থা ভালো নয়। লিবিয়া থেকে যাত্রা করা ওই শরণার্থীদের মধ্যে ৬৪ জনই বাংলাদেশি। বাকিরা মরক্কো, সুদান এবং মিসরের নাগরিক।

মানব পাচারকারীদের মাধ্যমে আফ্রিকান শরণার্থীদের ইউরোপে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রধান একটি পয়েন্ট হচ্ছে লিবিয়া উপকূল। এই উপকূল দিয়েই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে।

গত মাসে ইউরোপের উদ্দেশে লিবিয়া ছেড়ে যাওয়া একটি নৌকা উল্টে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে কমপক্ষে ৬৫ শরণার্থীর মৃত্যু হয়।

চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এই রুটেই প্রায় ১৬৪ শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। গত কয়েক বছরের প্রথম কয়েক মাসের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতি তিনজনের একজন মারা যাচ্ছে।