কুমিল্লায় স্বামীকে আটক রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, আটক ৫

  • আপডেট: ১২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২১
অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় স্বামী আটক রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯৯৯’র ফোন পেয়ে ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে উদ্ধার এবং ৫ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রেল স্টেশন এলাকায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এক ব্যক্তির জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এসময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটক কৃতরা হলো লাবু মিয়া, নাসির আহমেদ, নজরুল ইসলাম, সাদ্দাম ও জমির হোসেন। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদলের অধিবাসী।সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ওই দম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বেড়াতে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় কিছু দুর্বৃত্ত স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে একটি ধান খেতে নিয়ে গণধর্ষণ করছে। ৯৯৯- এ ফোনকারী ভিকটিম মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কলারকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে। এছাড়া সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করে।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সদর এলাকার ওই ব্যক্তি জানান, আমি ও আমার স্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাল্লা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে রেল গাড়িতে করে শশীদল রেল ষ্টেশনে রাত ৮ টার সময় পৌঁছাই। রেল থেকে নেমে আমরা চা খাওয়ার জন্য শশীদল ষ্টেশনের নাসির মিয়ার চা দোকানে গিয়ে কিছু সময় বসি এবং চা পান করি। এক পর্যায়ে চা দোকানের মালিক নাসির মিয়া আমাদের বলেন, এখন রাত্র অনেক হয়েছে, আপনার শ্বশুর বাড়ি নাল্লা এলাকায় যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি পাবেন না। আজ রাতে আমার বাড়িতে থেকে সকালে উঠে চলে যাবেন। তার বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে আমরা বের হয়ে যেতে চাইলে সে এবং তার সহযোগীরা আমার ও স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশের ধানের জমিতে নিয়ে যায়। আমাকে নাসির ও তার সহযোগী শশীদল গ্রামের মৃত উলফত আলীর ছেলে জমির হোসেন আটক করে রেখে মারধর করে। অন্যদিকে আমার স্ত্রীকে ওই এলাকার নসু মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া ধর্ষণ করে। ওই গ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই দম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ওই এলাকায় আসে। কিছু দুর্বৃত্ত স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এখনও কোন মামলা হয়নি।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

কুমিল্লায় স্বামীকে আটক রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, আটক ৫

আপডেট: ১২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় স্বামী আটক রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯৯৯’র ফোন পেয়ে ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে উদ্ধার এবং ৫ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রেল স্টেশন এলাকায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এক ব্যক্তির জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এসময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটক কৃতরা হলো লাবু মিয়া, নাসির আহমেদ, নজরুল ইসলাম, সাদ্দাম ও জমির হোসেন। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদলের অধিবাসী।সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ওই দম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বেড়াতে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় কিছু দুর্বৃত্ত স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে একটি ধান খেতে নিয়ে গণধর্ষণ করছে। ৯৯৯- এ ফোনকারী ভিকটিম মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কলারকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে। এছাড়া সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করে।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সদর এলাকার ওই ব্যক্তি জানান, আমি ও আমার স্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাল্লা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে রেল গাড়িতে করে শশীদল রেল ষ্টেশনে রাত ৮ টার সময় পৌঁছাই। রেল থেকে নেমে আমরা চা খাওয়ার জন্য শশীদল ষ্টেশনের নাসির মিয়ার চা দোকানে গিয়ে কিছু সময় বসি এবং চা পান করি। এক পর্যায়ে চা দোকানের মালিক নাসির মিয়া আমাদের বলেন, এখন রাত্র অনেক হয়েছে, আপনার শ্বশুর বাড়ি নাল্লা এলাকায় যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি পাবেন না। আজ রাতে আমার বাড়িতে থেকে সকালে উঠে চলে যাবেন। তার বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে আমরা বের হয়ে যেতে চাইলে সে এবং তার সহযোগীরা আমার ও স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশের ধানের জমিতে নিয়ে যায়। আমাকে নাসির ও তার সহযোগী শশীদল গ্রামের মৃত উলফত আলীর ছেলে জমির হোসেন আটক করে রেখে মারধর করে। অন্যদিকে আমার স্ত্রীকে ওই এলাকার নসু মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া ধর্ষণ করে। ওই গ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই দম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ওই এলাকায় আসে। কিছু দুর্বৃত্ত স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এখনও কোন মামলা হয়নি।