রংপুরকে দিয়ে উড্ডয়ন কুমিল্লার

  • আপডেট: ০৫:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২২

অনলাইন ডেস্ক:

দাসুন সানাকার ব্যাটিং ঝড়ের পর আল-আমিনের গতির তাণ্ডবে উড়ে গেল রংপুর রেঞ্জার্স। ১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬৮ রানে অলআউট রংপুর। ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে দুর্দান্ত জয়ে বিপিএল সপ্তম আসরে যাত্রা শুরু করল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রথমে তাণ্ডব চালান কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক দাসুন সানাকা। তার ব্যাটিং ঝড়েই ১৭ ওভারে ১০৮ রান করা কুমিল্লা শেষ ১৮ বলে যোগ করে ৬৫ রান। মাত্র ৩১ বল খেলে ৯টি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৭৫ রান করেন সানাকা।

১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভারে ৬৮ রানে অলআউট হয় মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বাধীন রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। এ ছাড়া ১৩ রান করেন অন্য ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। কুমিল্লার হয়ে ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশ দলের তারকা পেসার আল-আমিন হোসেন।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের সপ্তম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা।

ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইয়াসির আলী। রংপুর রেঞ্জার্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর করা বলটি ইয়াসিরের ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ওপেনার ইয়াসির।

ইনিংসের প্রথম বলে ইয়াসির আলীর উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক চাপে পড়ে যাওয়া কুমিল্লাকে খেলায় ফেরাতে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন সৌম্য সরকার। ১৮ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করতেই মোহাম্মদ নবীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সৌম্য।

২৬ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার মাত্র ৮ বল ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার অন্য ওপেনার রাজাপাকশে। সঞ্জিত সাহার অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৫ রান করার সুযোগ পান ভানুকা রাজাপাকশে। ৬.৩ ওভারে দলীয় ৪৭ রানে তিন উইকেট হারায় কুমিল্লা।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। ১৩.৫ ওভারে ৮৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করেন অধিনায়ক সানাকা। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে দলকে সম্মানজনক পজিশনে নিয়ে যান এই লংকান ক্রিকেটার। তার ৩১ বলে গড়া ৭৫ রানের দানবীয় ব্যাটিংয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৭৩/৭ (দাসুন সানাকা ৭৫*, সৌম্য ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির ১৯; সঞ্জিত ২/২৬, মোস্তাফিজ ২/৩৭)।

রংপুর রেঞ্জার্স: ১৪ ওভারে ৬৮/১০ (নাইম ১৭, শেহজাদ ১৩, নবী ১১; আল আমিন ৩/১৪)।

ফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১০৫ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: দাসুন সানাকা (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

রংপুরকে দিয়ে উড্ডয়ন কুমিল্লার

আপডেট: ০৫:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

দাসুন সানাকার ব্যাটিং ঝড়ের পর আল-আমিনের গতির তাণ্ডবে উড়ে গেল রংপুর রেঞ্জার্স। ১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬৮ রানে অলআউট রংপুর। ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে দুর্দান্ত জয়ে বিপিএল সপ্তম আসরে যাত্রা শুরু করল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রথমে তাণ্ডব চালান কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক দাসুন সানাকা। তার ব্যাটিং ঝড়েই ১৭ ওভারে ১০৮ রান করা কুমিল্লা শেষ ১৮ বলে যোগ করে ৬৫ রান। মাত্র ৩১ বল খেলে ৯টি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৭৫ রান করেন সানাকা।

১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভারে ৬৮ রানে অলআউট হয় মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বাধীন রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। এ ছাড়া ১৩ রান করেন অন্য ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। কুমিল্লার হয়ে ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশ দলের তারকা পেসার আল-আমিন হোসেন।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের সপ্তম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা।

ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইয়াসির আলী। রংপুর রেঞ্জার্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর করা বলটি ইয়াসিরের ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ওপেনার ইয়াসির।

ইনিংসের প্রথম বলে ইয়াসির আলীর উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক চাপে পড়ে যাওয়া কুমিল্লাকে খেলায় ফেরাতে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন সৌম্য সরকার। ১৮ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করতেই মোহাম্মদ নবীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সৌম্য।

২৬ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার মাত্র ৮ বল ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার অন্য ওপেনার রাজাপাকশে। সঞ্জিত সাহার অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৫ রান করার সুযোগ পান ভানুকা রাজাপাকশে। ৬.৩ ওভারে দলীয় ৪৭ রানে তিন উইকেট হারায় কুমিল্লা।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। ১৩.৫ ওভারে ৮৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করেন অধিনায়ক সানাকা। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে দলকে সম্মানজনক পজিশনে নিয়ে যান এই লংকান ক্রিকেটার। তার ৩১ বলে গড়া ৭৫ রানের দানবীয় ব্যাটিংয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৭৩/৭ (দাসুন সানাকা ৭৫*, সৌম্য ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির ১৯; সঞ্জিত ২/২৬, মোস্তাফিজ ২/৩৭)।

রংপুর রেঞ্জার্স: ১৪ ওভারে ৬৮/১০ (নাইম ১৭, শেহজাদ ১৩, নবী ১১; আল আমিন ৩/১৪)।

ফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১০৫ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: দাসুন সানাকা (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।