কচুয়া প্রতিনিধি:
কচুয়াচাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ১নং সাচার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হলেন ১২ মামলার আসামি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অভিযুক্ত মনির হোসেন মেম্বার।
একজন অভিযুক্ত জেল খাটা আসামি মাদক সম্রাট মনির হোসেন মেম্বার কিভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছেন এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ১নং সাচার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে এই ১২ মামলা দাগি আসামি মনির হোসেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ও প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
এই অভিযুক্ত দাগি আসামি মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় তার মামলার নথিসহ একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১নং সচার ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, মনির হোসেন এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার শেষ সীমানা কুমিল্লা বর্ডার প্রান্তে সাচার ইউনিয়ন হাওয়ায় এই মনির হোসেন কুমিল্লা থেকে মাদক এই ইউনিয়ন’সহ চাঁদপুরে বিক্রি করছে। তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন, লাদেন, সোহেল ও বুশ সহ ৪ ছেলেকে দিয়ে মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এ ছাড়া মনির হোসেন এলাকার সাধারণ মানুষের ভূমি দখল চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার রয়েছে একটি গুন্ডাবাহিনী সে এমন প্রভাব কাটায় তার ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
এই মনির হোসেন এর পূর্বে বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে এই দলটিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সে এলাকায় একটি মাইকের দোকান দিয়ে ব্যবসার অন্তরালে এই মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে। ভদ্রবেশি সেজে অনুপ্রবেশকারী হয়ে মনির মেম্বার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ নেওয়ার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা কন্ট্রাক করে নেতৃবৃন্দ দের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন।
কোনভাবেই যাতে এই ১২ মামলার দাগি আসামি মনির হোসেনকে ১ নং সাচার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি যাতে না দেওয়া হয় এ জন্য কচুয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে ফোন করলেও সে রিসিভ করেনি।