হাজীগঞ্জ, ১৮ নভেম্বর, সোমবার॥
হাজীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সৃজনশীল, বিচক্ষণ, সমাজ সেবক ও একজন সফল রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। যিনি কৈশোর বয়স থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শতাব্দির বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ীও বটে। তিনি সকলের কাছে ক্লিন ইমেজের লোক হিসেবে পরিচিত এবং জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ উপজেলাবাসী তাঁর কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। তিনি জনকল্যানে নিঃস্বার্থভাবে জীবনের শেষ নিঃশাষ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতাকাতলে কাজ করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন।
তাঁর চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান-ধারনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের সু-যোগ্য কন্যা, গনমানুষের প্রানপ্রিয় জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠা উন্নত বাংলাদেশের রুপকার, যার সু-চিন্তিত পরিকল্পনা, যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, তাঁর এই দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজে নিজেকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য জনগনের দোয়া, সমর্থন ও উৎসাহে তিনি আসন্ন হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৯ পুনরায় সভাপতি পদে প্রার্থীতা ইতোমধ্যে ঘোষনা করেছেন। তিনি তাঁর প্রার্থীতা ঘোষনা দেওয়ার পর পরই তৃনমূল নেতাকর্মিদের আশ্রয়স্থল ও তাদের প্রিয় ব্যক্তি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজীকে তারা পুনরায় সভাপতি হিসেবে দেখতে চান।
তৃনমূল নেতাকর্মিদের দাবি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী একজন পরিশ্রমি ও মেধাবী নেতা। দল বা দলের পদকে পুঁজি করে তিনি কখনো অর্থ উপার্জন করেননি এবং করার মত তাঁর ওই ধরনের লোভ লালসা কখনো ছিলনা। তিনি একজন কর্মি বান্ধন নেতা। তাঁর কাছে কোন কর্মি বা উপজেলার লোকজন যে কোন সহযোগিতার জন্য গিয়ে খালি হাতে ফেরত আসেননি। উনার সাধ্য’র মধ্যে থেকে নেতাকর্মি এবং উপজেলার জনসাধারণকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে এখনকার সময়ে তাঁর মত এমন একজন নেতাই তৃনমূল নেতাকর্মিদের প্রয়োজন।
উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের ওড়পুর নোয়াপাড়া গ্রামের সম্ভন্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬২ সালের ১৫ ফেব্রয়ারী মাসে পিতা-মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ মিয়া ও মাতা-ছামিনা বেগম এর ঘরে আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী জন্ম গ্রহন করেন। বি এ (ডিগ্রি) পাশ করেন। তিনি ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে সেবাদানে নিয়োজিত রয়েছেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মিয়াজীর পিতা স্বনামধন্য স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাবার অনুপ্রেরণায় তাঁর বড় ভাই হারুন-অর-রশিদ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তারা পারিবারিকভাবেই মুক্ত চিন্তা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চর্চায় এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও দায়িত্বশীল। রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক গন-পরিষদ সদস্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও মুক্তিযুদ্ধেও ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা মার্কার পক্ষে নির্বাচনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে অবদান রাখেন। এছাড়াও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী সময়ে জামায়াত-বিএনপি তথা চার দলীয় জোট সরকারের সময় তার নিজ উপজেলার নেতা কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন সময় নেতা-কর্মীদেরকে মারধরসহ নির্যাতিত হয়ে আহত করায় তাদের চিকিৎসাসহ আর্থিক ভাবে সহায়তা করেন।
১/১১ সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছিল তখন তার মুক্তির দাবীতে মিছিল মিটিং ও সভা সমাবেশ করেন। ২০০৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করার জন্য ভূমিকা রাখেন। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে এককভাবে নির্বাচিত করার জন্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচনে প্রার্থী থাকাবস্থায় তাহার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার ভূমিকা রাখেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে বিজয়ী করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করেন।