শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
শাহরাস্তিতে যৌতুক এর জন্য স্বামীর নির্দেশে শশুর, শাশুড়ী দেবর, ননদ, ননদী কর্তৃক নির্যাতন। অভিযোগে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পর্শ্চিম ইউনিয়নের দৈয়ারা গ্রামের মৃত হাজী মোঃ সফিউল্লাহ এর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস (২৮) কেএকই উপজেলার রায়শ্রী (দঃ) ইউনিয়নের ঘুঘুরচপ গ্রামে হাজী বাড়ির মোঃ মনতাজ মিয়ার, ২য় সংসারের বড় ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সাথে ৮/৯ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়তের ভিত্তিতে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ টাকার ফার্নিচার দেওয়া হয়েছ। তার পরও ক্ষান্ত না হয়ে নির্যাতন চালায় শারীরিক ও মানুষিক ভাবে। বোনের সুখের জন্য ভগ্নিপতি কে, সাড়ে সাত লাখ (৭৫০০০০)টাকা খরছ করে সৌদি আরবে নিয়ে যাই। তার পর ও আামার বোনকে নির্যাতন করা বন্ধ করে নাই।
তার শশুর মোঃ মনতাজ মিয়া(৬৫) পিতা মৃতঃ হাছান আলী গং। গত ০৫/১১/২০১৯ইং সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জমি কিনার জন্য (যৌতুক হিসাবে) টাকা দাবী করে। এতে আমার বোন টাকা দিতে পারবে না বলায় তার শশুর, শাশুড়ী, দেবর, ননদী মিলে মার ধর করলে, এখবর আমাদের কাছে গেলে, আমরা আমাদের বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি।
উল্লাখ্য, যে আমার বোনকে বিয়ের পর থেকে নির্যাতন করত,। তাই আমার বোনকে আমাদের বাড়ি নিয়ে গেলে, তারা শালিসী বৈঠক করে, আর মার ধর করবে না বলে আমার বোনকে নির্যাতন করেছে আবার নতুন করে। ঘটনার দিনের মার ধর এর কথা তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ লিটনকে জানালে, মেম্বার আমাকে সাথে নিয়ে আমার বোনের বাড়িতে গিয়ে বোনের অবস্থা দেখে, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেন আমাকে। আমি মেম্বারের কথায় হাসপাতালে নিয়ে যাই। উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন, জান্নাতুল ফেরদাউস এর ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। জান্নাতুল ফেরদাউস এ প্রতিনিধিকে জানান আগেও এ ভাবে আমাকে নির্যাতন করার কারনে আমার বাবার বাড়িতে দুই বছর ধরে আমার ২টি সন্তান নিয়ে থাকাবস্থায় চমার কোন খোজ খবর নেয়নি।
কোন টাকা পয়সাও দেয় নী। সব খরছ আমার ভাইয়েরা বহন করেছে। আবার ও আমার আমার সুখের কথা চিন্তা করে আমাকে, শ্বশুর বাড়িতে পাঠায়, তাদের অনুরোধে। কিন্তু তারা আবারও আমার উপর নির্যাতন চালায়।
এ ব্যাপারে শ্বশুর মোঃ মনতাজ মিয়া (৫৫) পিতা মৃত হাসান আলী, রেহানা বেগম(৪৫)স্বামী মনতাজ মিয়া, তাহমিনা আক্তার (কিরন) পিতা মনতাজ মিয়া সর্ব সাং ঘুঘুচপ। এ ৩ জনকে বিবাদী করে গত ০৫/১১/২০১৯ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার এর নিকট নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।