ক্রীড়া ডেস্ক:
প্রথা অনুযায়ী ক্লাব ফুটবলে ২২-২৩ ফুটবলার নিয়ে একটি দল সাজানো হয়। বছরের শুরুতে বার্সেলোনাও সমসংখ্যক খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠন করেছে। চলতি মৌসুমের এখনও অর্ধেক খেলা বাকি। এরই মধ্যে অর্ধেক ফুটবলার আহত হয়েছেন। তাদের প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়।
গেল শনিবার রাতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে লিওনেল মেসির জাদুকরী হ্যাটট্রিকে দুর্দান্ত জয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সা। এ সময় তাদের ছন্দটা ধরে রাখা দরকার। সেই ম্যাচেও দুঃসংবাদ পান তারা। কাফ কাফ ইনজুরিতে পড়েন রাইটব্যাক নেলসন সেমেদো। চলতি মৌসুমে চোটে পড়া দলের ১৩তম খেলোয়াড় তিনি।
শিবিরে ইনজুরির থাবাটা শুরু নেতোকে দিয়ে। প্রাক-মৌসুমেই আঙুল ভাঙেন তিনি। ফলে লা লিগার শুরু থেকেই দলের বাইরে এ রক্ষণসেনা। চোটে আছেন তোদিবো। মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচ মিস করার পর দলে ফেরেন তিনি। কিন্তু সেভিয়ার বিপক্ষে ফের সেই পরিণতির শিকার হন।
ইনজুরির কারণে ইতিমধ্যে সাত ম্যাচ মিস করেছেন ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমিতিতি। হাঁটুর ব্যথা কাটিয়ে দলে ফিরলেও কোনো ম্যাচেই পুরোটা সময় খেলতে পারছেন না তিনি। বার্সা বেশি ঝামেলায় পড়েছে লেফটব্যাক জর্দি আলবার ইনজুরিতে। গুরুত্বপূর্ণ পজিশনটিতে যোগ্য কাউকে পাচ্ছেন না তারা।
লেভান্তের বিপক্ষে হোঁচট খাওয়া ম্যাচে আচমকা মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার আর্থার মেলো। ম্যাচশেষে কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে জানান, চোটের কারণে মাঠ থেকে উঠে আসেন তিনি। এইবারের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে তুলে নিতে হয় মাঝমাঠের কারিগর সার্জিও রবার্তোকে। লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে স্লাভিয়া প্রাগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।
ফরোয়ার্ড জুনিয়র ফিরপোরও একই দশা। ওসাসুনার বিপক্ষে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এক মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন এ খেলোয়াড়।
ইনজুরি আক্রান্তদের তালিকায় আছেন স্ট্রাইকার উসমান ডেম্বেলে। চোট আর নানা বিতর্কের কারণে প্রথম ৫ ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। পরে ফিরলেও গেটাফের বিপক্ষে ম্যাচে আবারও ইনজুরিতে পড়েন এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।
প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি চোটের কারণে মৌসুমের প্রথম ৫ ম্যাচ মিস করেন। পরে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ফিরলেও ৪৫ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি ছোট ম্যাজিসিয়ান। এখন অবশ্য পুরোপুরি ফিট বার্সা অধিনায়ক।
তবে সুস্থ নন কাফ ইনজুরিতে ভুগতে থাকা গোলমেশিন লুইস সুয়ারেজ। অ্যাথলেটিক বিলবাও ও লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। পরে আরও ৩ ম্যাচ মিস করেছেন।
শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েই হইচই ফেলে দেন উদীয়মান গোলস্কোরার আনসু ফাতি। তবে ইনজুরি থামিয়ে দিয়েছে তার গতি। এ ছাড়া ইনজুরিতে আছেন আরেক বার্সা খেলোয়াড় কার্লোস পেরেজ। এমন অবস্থায় মাঠের খেলায় দাপট দেখাতে পারছেন না স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তাই কাতালানদের প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরুক সবাই।