ক্রীড়া ডেস্ক:
অতীতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। চলতি সফরেই ভারতের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রথম জয় পায় টাইগাররা।
সুযোগ রয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়েরও। আজ ভারতের বিপক্ষে ১৭৫ রান করতে পারলেই নতুন ইতিহাস রচনা করবে বাংলাদেশ। এজন্য মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে হবে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে স্বাগতিক ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন স্রেয়াশ আয়ার।
রোববার ভারতের নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শফিউল। তার বলে স্ট্যাম্প উড়ে যায় ভারত সেরা ওপেনার রোহিত শর্মার। তিন ম্যাচ সিরিজে এ নিয়ে দুইবার শফিউলের শিকার হলেন রোহিত।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শফিউলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ভারতীয় অনিয়মিত অধিনায়ক রোহিত। সেই ম্যাচে ৯ রানে আউট হওয়া রোহিত তৃতীয় ম্যাচে ফেরেন ৬ বলে মাত্র ২ রান করে। রোহিত শর্মার বিদায়ে ১.৩ ওভারে দলীয় ৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ভারতের।
এরপর দলীয় ৩৫ রানে ভারতীয় শিবিরে ফের আঘাত হানেন শফিউল। তার বলে ডিপ মিডউইকেটে ফিল্ডিং করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শেখর ধাওয়ান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ১৯ রান করার সুযোগ পান তিনি।
ধাওয়ান আউট হওয়ার পর শফিউলের ওই ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দেন নতুন ব্যাটসম্যান স্রেয়াশ আয়ার। কিন্তু স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করা অনিভিজ্ঞ আমিনুল ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি।
দলীয় ৩৫ রানের দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন লোকেশ রাহুল। তার ব্যাটে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে খেলায় ফেরে স্বাগতিকরা।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৩ বলে ক্যারিয়ারের ৩১তম ম্যাচে ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন রাহুল। ফিফটির পর ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করার আগেই আল-আমিন হোসেনের শিকার হন তিনি। আল আমিনের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন রাহুল। তার বিদায়ে ১২.১ ওভারে ৯৪ রানে তিন উইকেট হারায় ভারত। শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল স্রেয়াশ আয়ারের। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করা অনিভিজ্ঞ আমিনুল ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি। যে কারণে দলীয় ৩৭ রানে শফিউল ইসলামের বলে নতুন লাইফ পান স্রেয়াশ।
ইনিংসের শুরুতে নতুন জীবন পেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ভারতীয় এ তরুণ ব্যাটসম্যান। ১৫তম ওভারে আফিফ হোসেনকে টানা তিন বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার ১৯ বল আগে অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লং অফের ফিল্ডার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৩৩ বল খেলে দৃষ্টি নন্দন ৫টি ছক্কা ও তিন চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন।