নিজেদের ঘর-বাড়ি এবং ঘরের আসবাব ও সম্পদ ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে না চাইলেও উপজেলা প্রশাসন, সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবকরা অনুরোধ করে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে এনেছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রিতরা ত্রান না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোনাগাজীর মায়মুন আরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে এ অভিযোগ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৪টায় তাদের এ আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাদের কোন ধরনের খাবার ও পানি দেয়া হয়নি।
ফেনীর জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান জানান, সম্ভাব্য সকল ধরনের ক্ষতি এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বিপন্ন এলাকার মানুষদের ইতোমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রয়েছে। তৈরী আছে মেডিক্যাল টিম। আশ্রিতদের খাবার দেয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে জেলা প্রশাসন।
উপজেলায় খোলা হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ এবং ১০টি চিকিৎসক দল, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ২ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন।