মতলব উত্তরে স্ত্রীকে নিযার্তন করে হত্যা চেষ্টা

  • আপডেট: ০৯:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩০

মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তরে স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করে হত্যা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী উপজেলার পূর্ব হানিরপাড় গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে নূর নবী বেপারীর (৩৫) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দক্ষিণ ছেঙ্গারচর গ্রামের মো. হাবিব উল্লাহ (৫৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী হাবিব উল্লাহর মেয়ে ফরিদা বেগম (৩৩) এর সাথে ১৩ বছর আগে শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে নিরব (১২) ও তুষার (১০) দুই সন্তান রয়েছে। তাদের সংসার চলাকালীন বিবাদী নুর নবী ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা পরিশোধ না করে আবার কিছু দিন পরে ১ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবী করেন। ওই টাকা দিতে অপারগতা দাবী করলে ফরিদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী নূর নবী। এ নিয়ে গত ৩ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে এলোপাথারী মারধর করে। ফরিদা নাকে ও চোখে জখম প্রাপ্ত হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত জেনে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে রাত ১০ টার দিকে এক অজ্ঞাতনামা লোক তাকে উদ্ধার করে থানার গেটে রেখে গেলে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বাদী হাবিব উল্লাহ বলেন, তারা টাকা দাবী করে আর তাতে অসম্মতি প্রদান করলে আমার মেয়েকে হত্যা চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে আমরা খবর পাই সে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় নূর নবী, তার ভাই মামুন বেপারী (৩৫), পিতা আবুল বেপারী (৬৫) এবং মা রাজিয়া বেগমকে (৫৮) বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
তবে বিবাদী নূর নবী বেপারী বলেন, সে অনেক খারাপ মহিলা। সাংসারিক ব্যাপারে তাকে কিছু বললেই সে রেগে যায়। তাই তাকে রাগের মাথায় থাপ্পর দিয়েছি। এর বেশি কিছু হয়নি। সে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত আছে বলেও জানান নূর নবী।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

মতলব উত্তরে স্ত্রীকে নিযার্তন করে হত্যা চেষ্টা

আপডেট: ০৯:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯

মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তরে স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করে হত্যা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী উপজেলার পূর্ব হানিরপাড় গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে নূর নবী বেপারীর (৩৫) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দক্ষিণ ছেঙ্গারচর গ্রামের মো. হাবিব উল্লাহ (৫৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী হাবিব উল্লাহর মেয়ে ফরিদা বেগম (৩৩) এর সাথে ১৩ বছর আগে শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে নিরব (১২) ও তুষার (১০) দুই সন্তান রয়েছে। তাদের সংসার চলাকালীন বিবাদী নুর নবী ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা পরিশোধ না করে আবার কিছু দিন পরে ১ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবী করেন। ওই টাকা দিতে অপারগতা দাবী করলে ফরিদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী নূর নবী। এ নিয়ে গত ৩ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে এলোপাথারী মারধর করে। ফরিদা নাকে ও চোখে জখম প্রাপ্ত হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত জেনে বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে রাত ১০ টার দিকে এক অজ্ঞাতনামা লোক তাকে উদ্ধার করে থানার গেটে রেখে গেলে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বাদী হাবিব উল্লাহ বলেন, তারা টাকা দাবী করে আর তাতে অসম্মতি প্রদান করলে আমার মেয়েকে হত্যা চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে আমরা খবর পাই সে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় নূর নবী, তার ভাই মামুন বেপারী (৩৫), পিতা আবুল বেপারী (৬৫) এবং মা রাজিয়া বেগমকে (৫৮) বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
তবে বিবাদী নূর নবী বেপারী বলেন, সে অনেক খারাপ মহিলা। সাংসারিক ব্যাপারে তাকে কিছু বললেই সে রেগে যায়। তাই তাকে রাগের মাথায় থাপ্পর দিয়েছি। এর বেশি কিছু হয়নি। সে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত আছে বলেও জানান নূর নবী।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।