অনলাইন ডেস্ক:
বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক ঘেঁষে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মাওলানা সাদপন্থীদের ৩ দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ ফজর জিম্মাদার সাথী মাওলানা শফিউল্লাহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদের ২৫টি তাবলীগ জামাতসহ শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলার তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে নিজ নিজ অবস্থান নিয়েছেন। শরীয়পুরের ইজতেমাস্থল এখন মুখরিত বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিদের সমাগমে।
মুসল্লিরা কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তাসবিহ,তালিম ও বয়ান শুনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে শরীয়তপুরের আঞ্চলিক ইজতেমা ময়দানে।
বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, মুসল্লিরা সড়কপথে বাস, টেম্পু-নসিমন, করিমন ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে জিকির করতে করতে আসছেন শরীয়তপুরের বুড়িরহাট ইজতেমা ময়দানে। ইজতেমায় বয়ান হচ্ছে বাংলা ভাষায়।
এতে আল্লাহর মাহাত্ম, আখেরী নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাহ এবং তার উম্মত হিসেবে করনীয়, দাওয়াতের মেহনতের তরতিব এবং দৈনন্দিন জীবনের অত্যাবশ্যকীয় আমল নিয়েই আলোচনা করছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।
ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মুসল্লিরাও সুশৃংখলভাবে ইজতেমা মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও র্যাব ও সাদা পোশাকধারীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ইজতেমা এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও শরীয়তপুরের পুলিশ প্রশাস এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইজতেমা ময়দানে তিনদিনের জন্য ফ্রি মেডিকেল টিম ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী ৯ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শরীয়তপুরের আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হবে।
তাবলীগ জামাতের আয়োজকের দায়িত্বে ইন্তেজামিয়া আমির মো. নুরুজ্জামান বেপারী জানান, ইজতেমা ময়দানের মধ্যে ৪টি খেত্তা ও ২৪টি পয়েন্ট রয়েছে। বুধবার বিকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের পার্শ্বের বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আঞ্চলিক ইজতেমার মুসল্লিদের জন্য ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২৭৯ জন পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ৩৪ জন সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মুসল্লিদের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাবলীগ জামাতের শতাধিক মুসল্লিও নিরাপত্তার কাজে প্রশাসনকে সহায়তা করবেন।
এ ছাড়াও র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প থেকে র্যাব সদস্যরা পুরো ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করছে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। শরীয়তপুরের আঞ্চলিক ইজতেমা সুন্দর এবং সফলভাবে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশ সুপার।