গাজীপুরে স্ত্রী, সন্তানসহ একই পরিবারের ৬ জনের ইসলাম গ্রহণ

  • আপডেট: ০৫:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৬

অনলাইন ডেস্ক:

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একই পরিবারের ছয়জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তারা হলেন- উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কুলগঙ্গা গ্রামের অনিল চন্দ্র দাস (৭০), তার স্ত্রী শ্রীমতি রুনুবালা দাস (৬৫), ছেলে ঝন্টু দাস (৪০), ঝন্টু দাসের স্ত্রী শ্রীমতি লতা রানী দাস (৩৫), তাদের ছেলে জয়ন্ত দাস (১০) ও সৌরভ দাস (৭)।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হন।

ইসলাম গ্রহণের পর অনিল চন্দ্র দাসের নতুন নাম রাখা হয় মো. আতিকুল্লাহ, রুনুবালা দাসের নাম মোছা. রাবেয়া খাতুন, শ্রী ঝন্টু দাসের নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম জসিম, লতা রানী দাসের নাম আয়শা খাতুন, শ্রী জয়ন্ত দাসের নাম মো. জাবের আহমেদ ও শ্রী সৌরভ দাসের নাম মো. আসাদ উল্লাহ রাখা হয়।

সিংহশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশ্রাফ উদ্দিন খান আল আমিন জানিয়েছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কুলগঙ্গা মসজিদে এসে শত শত মুসল্লির সামনে প্রথমে ওই পরিবারের তিন সদস্য ঝন্টু দাস, জয়ন্ত দাস ও সৌরভ দাস স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেন।

মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ ও মাওলানা আব্দুর রহিম কালেমা পড়িয়ে তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করান এবং পূর্বের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখেন।

পরে নওমুসলিমরা খুতবা শুনেন এবং জুমার নামাজ আদায় করেন। জুমার নামাজ শেষে ঝন্টু দাস (নতুন নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম জসিম) মসজিদের ইমামকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে মা-বাবা ও স্ত্রীসহ স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে নওমুসলিম মো. জাহাঙ্গীর আলম জসিম ও তার বাবা আতিকুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমাদেরকে কেউ চাপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করেনি।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

গাজীপুরে স্ত্রী, সন্তানসহ একই পরিবারের ৬ জনের ইসলাম গ্রহণ

আপডেট: ০৫:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একই পরিবারের ছয়জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তারা হলেন- উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কুলগঙ্গা গ্রামের অনিল চন্দ্র দাস (৭০), তার স্ত্রী শ্রীমতি রুনুবালা দাস (৬৫), ছেলে ঝন্টু দাস (৪০), ঝন্টু দাসের স্ত্রী শ্রীমতি লতা রানী দাস (৩৫), তাদের ছেলে জয়ন্ত দাস (১০) ও সৌরভ দাস (৭)।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হন।

ইসলাম গ্রহণের পর অনিল চন্দ্র দাসের নতুন নাম রাখা হয় মো. আতিকুল্লাহ, রুনুবালা দাসের নাম মোছা. রাবেয়া খাতুন, শ্রী ঝন্টু দাসের নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম জসিম, লতা রানী দাসের নাম আয়শা খাতুন, শ্রী জয়ন্ত দাসের নাম মো. জাবের আহমেদ ও শ্রী সৌরভ দাসের নাম মো. আসাদ উল্লাহ রাখা হয়।

সিংহশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশ্রাফ উদ্দিন খান আল আমিন জানিয়েছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কুলগঙ্গা মসজিদে এসে শত শত মুসল্লির সামনে প্রথমে ওই পরিবারের তিন সদস্য ঝন্টু দাস, জয়ন্ত দাস ও সৌরভ দাস স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেন।

মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ ও মাওলানা আব্দুর রহিম কালেমা পড়িয়ে তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করান এবং পূর্বের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখেন।

পরে নওমুসলিমরা খুতবা শুনেন এবং জুমার নামাজ আদায় করেন। জুমার নামাজ শেষে ঝন্টু দাস (নতুন নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম জসিম) মসজিদের ইমামকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে মা-বাবা ও স্ত্রীসহ স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে নওমুসলিম মো. জাহাঙ্গীর আলম জসিম ও তার বাবা আতিকুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমাদেরকে কেউ চাপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করেনি।