অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ বিমানকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপদ উড্ডয়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ বুধবার ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সুরক্ষা সেমিনার-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর একটি হোটেলে যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বিমানকে পৃথিবীর আরও অনেক দেশের সঙ্গে নতুন নতুন রুট সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। সেইসঙ্গে আমাদের পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে এখন আমরা যে পরিমাণ যাত্রীসেবা দিতে পারি, আগামীতে এর আড়াইগুণ বেশি অর্থাৎ বছরে প্রায় ১২ মিলিয়নের বেশি যাত্রীসেবা দেয়া সম্ভব হবে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আরও উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া বাগেরহাটে আমাদের আরও একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করারও লক্ষ্য আছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে স্টেট অব আর্থ-থ্রিডি হেলিকাপ্টার সিসুলেট স্থাপন করা হয়েছে, যা থেকে আমাদের পাইলটরা রিয়েল টাইম ফ্লাইংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করে বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, গত পৌনে ১১ বছরে বিমানবহরে আমরা বোয়িং কম্পানির চারটি অত্যাধুনিক ড্রিম লাইনারসহ মোট ১০টি বিমান সংযুক্ত করেছি। আরও দুটি ক্রয় করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি আমরা জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারো স্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস করেছি। আমরা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করছি, কারণ বিশ্বমানের এভিয়েশন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। এটা হবে লালমনিরহাটে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যারোনোটিক্যাল সেন্টার স্থাপন করেছি। নিটক ভবিষ্যতে এ সেন্টারে যুদ্ধবিমানসহ ব্যবহৃত বিমানও মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা রাখি।