শরীফুল ইসলাম:
চাঁদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে চাঁদপুর সদরের প্রত্যেকটি ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে ত্রান বিতরাসহ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এতে ত্রাণ বিতরণে পুলিশের সাথে সমন্বয় করার বিষয়টিরক অত্যন্ত রজার দেওয়া হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান। এ সময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আই্য়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন, ওসি তদন্ত হারুনুর রশীদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম আহসান উল্লাহ।
আরো পড়ুন ; ত্রাণের চাল চুরির ঘটনায় আরও ১২ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত, বহাল তবিয়তে চাঁদপুরের ২জন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান বলেন, সরকারি চাল উত্তোলনের পর উপজেলা পরিষদের গোডাউনে রাখা হয়। জনপ্রতিনিধি উত্তোলনের পর চাল কোথায় মজুদ করবেন তাও কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা। মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ওনি কোন চাল আত্মসাৎ করেন নাই। তিনি আইনের চোখেও অপরাধি নন। সাংবাদিক শফিক সাহেব একটি কলাম লিখেছেন তাতে দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে। ত্রাণ বিতরনে সবাইকে নিয়ে কাজ করা উচিত। চাল উত্তোলনের পর বিলির তারিখ নির্ধারন করে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে কাজ করবো।
আরো পড়ুন ; চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফেরলেন
বিশেষ অতিথির বক্তব্য জাহেদ পারভেজ বলেন, গোল্ড, হিরোইন ও গাজা যখন পুলিশ উদ্ধার করে তখন কিন্তু মালখানায় যথাযথভাবে বুাঝয়ে দিতে হয়। তেমনি ত্রাণের চাল যখন উত্তোলন করা হয়, তখন যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখতে হবে। শুধু তাইনা, কোথায় মজুদ করা হবে তাও কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা প্রয়োজন। তা নাহলে আপনার বোকামির জন্য আপনার কর্তৃপক্ষকে ছোট হতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা যখন ত্রাণ বিতরণ করবেন তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন। আমরা পুলিশ বাহিনী বিতরণকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। সরকার বিরোধিচক্র থেকে সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
আরো পড়ুন ; হাজীগঞ্জে লকডাউন অমান্য করায় ৯ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা
এ সময় চেয়ারম্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাগাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল গাজী, মৈশাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক, রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান শামীম, হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার রাঢ়ী, ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী, কল্যানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন রনি, বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।