মহিউদ্দিন আল আজাদা॥
প্রান্তিকের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আইনি সেবা-সহায়তা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পুলিশ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সেবক হবে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করবে। পুলিশের কাছে ন্যায়বিচার পাবে, ন্যায্যতা পাবে-সেই আত্মবিশ্বাস যেন মানুষের মাঝে সবসময় থাকে। পুলিশকে সবসময় সেবা দিয়ে যেতে হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি থানায় স্থাপিত ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী’ সার্ভিস ডেস্কসমূহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে সবাইকে রোজার মোবারকবাদ জানিয়ে বাংলা নববর্ষ ও ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স, রাজারবাগ, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এবং এর সঙ্গে সকল থানা, পুলিশ রেঞ্জ এবং পুলিশ লাইন সংযুক্ত ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদও বক্তৃতা করেন। অতিরিক্ত আইজিপি ড.নুরুর রহমান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের দুটি মানবিক উদ্যোগ ‘সার্ভিস ডেস্ক’ এবং ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের উপর একটি অডিও-ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানাকে যুক্ত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদ, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি আলী আশরাফ দুলাল ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের উদ্যোগে মকিমাবাদ গ্রামের গৃহহীণ মিসেস হোসনেয়ারা বেগমকে ভূমি কিনে সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রামে একটি বাড়ী করে দেন পুলিশ।