নানার ধর্ষণে নাতীন অন্তঃস্বত্বা, ছয় মাসের নবজাতক ডাস্টবিনে॥ আটক-৪

  • আপডেট: ১০:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • ৪৫

স্টাফ রিপোর্টার॥

হাজীগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে নানা পরিচয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। নানার ধর্ষণে অন্তঃস্বত্ব হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে অবৈধ গর্ভপাতের মাধ্যমে ওই নবজাতককে ফেলে দেয়া হয় পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ডের স্টেশন রোডস্থ জেলা পরিষদের মার্কেটের পেছনের একটি ডাস্টবিনে। সেখান থেকে ৩ দিন পর পুলিশ ৬/৭ মাস বয়সি একটি মৃত পুত্র সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে মৃতু দেহের সুরতহাল করে।

লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়ান এলাকার। নির্যাতিত স্কুল ছাত্রী ১৪ স্থানীয় স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন দিন মজুর। ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের দাই বাড়ী। সে পূর্ব হাটিলা হাড়িয়াইন বাজার সংলগ্ন জায়গা কিনে বাড়ী করেছে। তার বসত ঘরেই স্কুল ছাত্রীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কয়েকবার ধর্ষণ করে।

পুলিশ ঘটনা জানার তিন ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে উপজেলার মেনাপুর গ্রাম থেকে আটক করে। এর আগে পুলিশ বৈধগর্ভপাতের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষকের ছেলের বউ সীমা, মেয়ে বকুল ও ইসলামীয়া মর্ডান হাসপাতালের আয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।

পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ এলাকার একটি বাসায় ছয় মাসের নবজাতককে প্রসব করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় ধর্ষকের ছেলের বউ সীমা ও মেয়ে বকুল।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক মহসিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি ওই স্কুলছাত্রীসহ বাসার সবাইকে থানায় নিয়ে যান।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জুবাইর সৈয়দ জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করা হয়েছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

চাঁদপুরের ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

নানার ধর্ষণে নাতীন অন্তঃস্বত্বা, ছয় মাসের নবজাতক ডাস্টবিনে॥ আটক-৪

আপডেট: ১০:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার॥

হাজীগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে নানা পরিচয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। নানার ধর্ষণে অন্তঃস্বত্ব হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে অবৈধ গর্ভপাতের মাধ্যমে ওই নবজাতককে ফেলে দেয়া হয় পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ডের স্টেশন রোডস্থ জেলা পরিষদের মার্কেটের পেছনের একটি ডাস্টবিনে। সেখান থেকে ৩ দিন পর পুলিশ ৬/৭ মাস বয়সি একটি মৃত পুত্র সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে মৃতু দেহের সুরতহাল করে।

লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়ান এলাকার। নির্যাতিত স্কুল ছাত্রী ১৪ স্থানীয় স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন দিন মজুর। ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের দাই বাড়ী। সে পূর্ব হাটিলা হাড়িয়াইন বাজার সংলগ্ন জায়গা কিনে বাড়ী করেছে। তার বসত ঘরেই স্কুল ছাত্রীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কয়েকবার ধর্ষণ করে।

পুলিশ ঘটনা জানার তিন ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে উপজেলার মেনাপুর গ্রাম থেকে আটক করে। এর আগে পুলিশ বৈধগর্ভপাতের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষকের ছেলের বউ সীমা, মেয়ে বকুল ও ইসলামীয়া মর্ডান হাসপাতালের আয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।

পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ এলাকার একটি বাসায় ছয় মাসের নবজাতককে প্রসব করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় ধর্ষকের ছেলের বউ সীমা ও মেয়ে বকুল।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক মহসিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি ওই স্কুলছাত্রীসহ বাসার সবাইকে থানায় নিয়ে যান।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জুবাইর সৈয়দ জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করা হয়েছে।