• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর, ২০২১
সর্বশেষ আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২১

হাজীগঞ্জের মালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিনিধি:

হাজীগঞ্জের মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় বহিরাগত যুবকদের বিরুদ্ধে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিদ্যালয় শ্রেণি কক্ষে ৩টি পদে সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষা পরীক্ষায় শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ঠিক ৩০ সেকেন্ড পূর্বে স্থানীয় যুবলীগ নেতা পরিচয়ে রিপন নামের এক বহিরাগত যুবক প্রথমে নিয়োগ পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করে নকলের অভিযোগ তোলে। এরই মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। রিপন পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশের পর পরই তার সাথে জোরপূর্বকব ৭ থেকে ৮জন বহিরাগত যুবক পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় বহিরাগত যুবকরা হট্টগোল সৃষ্টি করে।

নুরে আলম নামে এক পরীক্ষার্থীর কাছে নকল পাওয়ার অভিযোগ তোলা হলেও ওই যুবক নিয়োগ পরীক্ষা পাশ করেনি।

বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক, নৈশ্য প্রহরী এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন কর্মী এ তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর আগে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কাউসার হোসেন, প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেনসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।

পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সকলের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও শেষ ৩০ সেকেন্ডে বাঁধ সাজে স্থানীয় বহিরাগত যুবক রিপন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না তা জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কাউছার হোসেনে বলেন, স্থানীয় যুবকদের কথা বিবেচনা করে কোন আইনি পদক্ষেপ নেইনি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা থেকে শুরু করে সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে একটি চক্র বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কোন উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয়টি শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারেনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি একটি ভবন ব্যবস্থা করে দেন । যা নিমার্ধীন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে থাকা বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে। এতে একটি চক্র বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। বিগত সময়ে তাদের কারণে এ বিদ্যালয় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। শান্তিপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষার শেষ হওয়ার পর স্থানীয় যুবক রিপনের নেতৃত্বে বহিরাগতরা পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনটি পদে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড পূর্বে কয়েকজন বহিরাগত যুবক এসে হট্টগোল সৃষ্টি করে। আমরা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিয়োগ পরীক্ষার সকল কার্যক্রম শেষ করেছি। এ বিদ্যালয় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি দায়িত্বে আসার পর থেকে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের অগ্রগতি হয়েছে। বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি এমপি স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। এমপি স্যার একটি ভবন বরাদ্ধের ব্যবস্থা করেন। যা বর্তমানে নির্মাধীন রয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের আসার পর থেকে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলও ভালো হয়েছে। নদীর দক্ষিণ পাড়ের যে বিদ্যালয়গুলো আছে তাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।

এ নিয়োগ পরীক্ষা বাঁধা সৃষ্টি করতে স্থানীয় একটি চক্র বার বার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তাদের কারণেই বিদ্যালয়টি সবদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • হাজীগঞ্জ এর আরও খবর
error: Content is protected !!