হাজীগঞ্জে মানবতার রাজনীতি নিয়ে যুবলীগ নেতার আবেগীয় স্ট্যাটাস

  • আপডেট: ১০:০৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
  • ৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বর্তমানে করোনা ভাইরাসে সাধারন মানুষের পাশে যাদের মানবতা দেখানোর কথা তারা মাঠে নাই অথচ স্বার্থহীন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে কে। এমন বাস্তব পরিস্তিতি নিয়ে হাজীগঞ্জের ১১ নং হাটিলা পশ্চিম  ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাসার আহমেদ গত ৫ মে তার ফেইজবুকে এক আবেগীয় স্ট্যাটাস দেন। তা থেকে দেখা যায়, তিনি প্রথমে তার ইউনিয়নের রাজনীতিতে এক দানবীর মানবের কথা উল্লেখ করেছেন। যা তার স্ট্যাটাস এর প্রথম থেকে উল্লেখ করা হলো।

রাজনীতি হবে যার তার কথা হবে জনতার। জনতা মানেই মানবতা। মানবতা যার আছে তিনিই মানুষ, মানুষ মানুষের জন্য৷ বিখ্যাত এই বাণী দিয়ে যে গানটি নির্মান হয়েছে সে গানটি লিখেছেন একজন মানুষ আর গেয়েছেনও একজন মানুষ এবং গানটিতে মানুষের কথাই মানুষকে বলা হয়েছে, মানুষ বিনে মানুষ চলতে পারেনা কথাটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি সত্য হলো মানুষের জন্যই মানুষ, মানুষ মানেই মানবতা।

মানবতার বাজারে মানুষের জন্য যে মানুষেরা ছুটে বেড়ায়, তারাই মানবতা৷ যাদের মানবতায় মানব সমাজে ফুটে উঠে মানবিক পরিচয়! অসহায় বিপদগ্রস্থ মানুষের সেবা করাই যাদের ধর্ম তাদের মর্যাদা মানুষেরাই দিয়েছে যুগ যুগ ধরে৷ যার মন মানুষের জন্য কাঁদে তাকে ঘীরেই বেঁচে থাকে অসংখ্য মানুষ! কারন তার ভালোবাসায় আশার আলো জ্বলতে থাকে যা অসংখ্য মানুষের মনকে উচ্ছ্বাসিত করে রাখে বিশুদ্ধ বিশ্বাসে। আশাবাদী মানুষের বিশ্বস্ত সে মানুষ হলেন একজন মহৎ, উদার আর বড় মনের মানুষ। যার কাজই হলো পরোপকার করা।

হ্যাঁ এমনই একজন মানুষের কথা বলছি যিনি ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন ধড্ডা গ্রামের কৃতী সন্তান। যার জন্ম আওয়ামী পরিবারে। আর তাই জন্মের পর বুঝতে শেখার পর থেকেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৮ সালে ছাত্র রাজনীতিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৯০ সালে তৎকালীন সৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটাতে দলের জন্য প্রাণের বাজি রেখেছেন। এরশাদ সরকার পতনের পর দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আসে, যে নির্বাচনে তিনি দলের জয় ছিনিয়ে আনতে দিন রাত খেটেছেন যার কর্মে সন্তোষ্ট হয়ে দলীয় সংগঠনের পোষ্ট দিতে চাইলে তিনি বলতেন আমি দলের জন্য কাজ করি পদবী দিয়ে কি হবে? হ্যাঁ তিনি ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন ধড্ডা গ্রামের কৃতী সন্তান জনাব, হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল সাহেব।

জনাব হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল সাহেব প্রায় আড়াই যুগ ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেই করছেন মানব সেবা৷ যার রাজনীতিই মানুষের জন্য,তার হৃদয়টাও মানুষের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ৷ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত জনাব হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল সাহেব ১৯৯২ সালে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হবার পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পালন করার পর সম্মানিত নেতৃবৃন্দ মিলে উনাকে ১১নং হাটিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য পদে নির্বাচিত করেন এবং এই পদে থেকেই তিনি আজও পর্যন্ত রাজনীতি সক্রিয় আছেন। যেখানে পোষ্ট পদবীর রাজনীতি সেখানে জনাব হুমায়ুন কবির লিটন সাহেবকে কখনো কোন পোষ্ট দিতে চাইলে তিনি বলতেন আমাকে সবাই চিনে,আমি যে আওয়ামীলীগ করি তা সবাই জানে আমার পোষ্ট পদবীর প্রয়োজন নেই৷ জনাব হুমায়ুন কবির লিটন সাহেবের রাজনীতিতে পদবীর চাহিদা ছিলো না,ছিলো মানব সেবার চাহিদা৷

জনাব হুমায়ুন কবির লিটন সাহেব তার রাজনীতির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দলের জন্য, যথাসম্ভব অর্থ খরচ করেছেন বর্তমানেও করছেন কেবল নিঃশ্বার্থ ভাবে৷ এবং তিনি দলের বাইরে নিজস্ব ভূমিকায় দাড়িয়েছেন মানুষের পাশে। মানুষের যে কোন প্রয়োজনে এগিয়ে আসতেন আর্থিক সাহায্যের পাশি মানুষকে দিতেন মানসিক প্রশান্তিও৷ এইতো সেদিনও করোনা ভাইরাসের দরুন মানুষ যখন ঘরবন্দি, রুজি কামাইহীন মানুষের পাশে দাড়িয়ে পৌঁছে দিয়েছেন সাহায্য। অসংখ্য মানুষ তার দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, হুমায়ুন কবির লিটন সাহেবকে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতিতে সবসময় প্রয়োজন, যার কর্মে দল প্রসংশিত হবে তাকে দলের বড় কোন সম্মানজনক পোষ্ট দিয়ে সম্মানিত করা হলে দলের মান বাড়বে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে জনাব হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল এর মত মানুষ প্রয়োজন আছে। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যিনি মানুষের বন্ধু তিনি দলেরও বন্ধু, তাকে দলীয় সম্মানে সম্মানিত করে দল মানব সেবায় উৎসাহিত করা হউক।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

“জাতীয় নির্বাচন দিয়ে জনগনের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন”-আনোয়ার হোসেন খোকন

হাজীগঞ্জে মানবতার রাজনীতি নিয়ে যুবলীগ নেতার আবেগীয় স্ট্যাটাস

আপডেট: ১০:০৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বর্তমানে করোনা ভাইরাসে সাধারন মানুষের পাশে যাদের মানবতা দেখানোর কথা তারা মাঠে নাই অথচ স্বার্থহীন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে কে। এমন বাস্তব পরিস্তিতি নিয়ে হাজীগঞ্জের ১১ নং হাটিলা পশ্চিম  ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাসার আহমেদ গত ৫ মে তার ফেইজবুকে এক আবেগীয় স্ট্যাটাস দেন। তা থেকে দেখা যায়, তিনি প্রথমে তার ইউনিয়নের রাজনীতিতে এক দানবীর মানবের কথা উল্লেখ করেছেন। যা তার স্ট্যাটাস এর প্রথম থেকে উল্লেখ করা হলো।

রাজনীতি হবে যার তার কথা হবে জনতার। জনতা মানেই মানবতা। মানবতা যার আছে তিনিই মানুষ, মানুষ মানুষের জন্য৷ বিখ্যাত এই বাণী দিয়ে যে গানটি নির্মান হয়েছে সে গানটি লিখেছেন একজন মানুষ আর গেয়েছেনও একজন মানুষ এবং গানটিতে মানুষের কথাই মানুষকে বলা হয়েছে, মানুষ বিনে মানুষ চলতে পারেনা কথাটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি সত্য হলো মানুষের জন্যই মানুষ, মানুষ মানেই মানবতা।

মানবতার বাজারে মানুষের জন্য যে মানুষেরা ছুটে বেড়ায়, তারাই মানবতা৷ যাদের মানবতায় মানব সমাজে ফুটে উঠে মানবিক পরিচয়! অসহায় বিপদগ্রস্থ মানুষের সেবা করাই যাদের ধর্ম তাদের মর্যাদা মানুষেরাই দিয়েছে যুগ যুগ ধরে৷ যার মন মানুষের জন্য কাঁদে তাকে ঘীরেই বেঁচে থাকে অসংখ্য মানুষ! কারন তার ভালোবাসায় আশার আলো জ্বলতে থাকে যা অসংখ্য মানুষের মনকে উচ্ছ্বাসিত করে রাখে বিশুদ্ধ বিশ্বাসে। আশাবাদী মানুষের বিশ্বস্ত সে মানুষ হলেন একজন মহৎ, উদার আর বড় মনের মানুষ। যার কাজই হলো পরোপকার করা।

হ্যাঁ এমনই একজন মানুষের কথা বলছি যিনি ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন ধড্ডা গ্রামের কৃতী সন্তান। যার জন্ম আওয়ামী পরিবারে। আর তাই জন্মের পর বুঝতে শেখার পর থেকেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৮ সালে ছাত্র রাজনীতিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৯০ সালে তৎকালীন সৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটাতে দলের জন্য প্রাণের বাজি রেখেছেন। এরশাদ সরকার পতনের পর দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আসে, যে নির্বাচনে তিনি দলের জয় ছিনিয়ে আনতে দিন রাত খেটেছেন যার কর্মে সন্তোষ্ট হয়ে দলীয় সংগঠনের পোষ্ট দিতে চাইলে তিনি বলতেন আমি দলের জন্য কাজ করি পদবী দিয়ে কি হবে? হ্যাঁ তিনি ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন ধড্ডা গ্রামের কৃতী সন্তান জনাব, হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল সাহেব।

জনাব হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল সাহেব প্রায় আড়াই যুগ ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেই করছেন মানব সেবা৷ যার রাজনীতিই মানুষের জন্য,তার হৃদয়টাও মানুষের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ৷ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত জনাব হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল সাহেব ১৯৯২ সালে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হবার পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পালন করার পর সম্মানিত নেতৃবৃন্দ মিলে উনাকে ১১নং হাটিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য পদে নির্বাচিত করেন এবং এই পদে থেকেই তিনি আজও পর্যন্ত রাজনীতি সক্রিয় আছেন। যেখানে পোষ্ট পদবীর রাজনীতি সেখানে জনাব হুমায়ুন কবির লিটন সাহেবকে কখনো কোন পোষ্ট দিতে চাইলে তিনি বলতেন আমাকে সবাই চিনে,আমি যে আওয়ামীলীগ করি তা সবাই জানে আমার পোষ্ট পদবীর প্রয়োজন নেই৷ জনাব হুমায়ুন কবির লিটন সাহেবের রাজনীতিতে পদবীর চাহিদা ছিলো না,ছিলো মানব সেবার চাহিদা৷

জনাব হুমায়ুন কবির লিটন সাহেব তার রাজনীতির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দলের জন্য, যথাসম্ভব অর্থ খরচ করেছেন বর্তমানেও করছেন কেবল নিঃশ্বার্থ ভাবে৷ এবং তিনি দলের বাইরে নিজস্ব ভূমিকায় দাড়িয়েছেন মানুষের পাশে। মানুষের যে কোন প্রয়োজনে এগিয়ে আসতেন আর্থিক সাহায্যের পাশি মানুষকে দিতেন মানসিক প্রশান্তিও৷ এইতো সেদিনও করোনা ভাইরাসের দরুন মানুষ যখন ঘরবন্দি, রুজি কামাইহীন মানুষের পাশে দাড়িয়ে পৌঁছে দিয়েছেন সাহায্য। অসংখ্য মানুষ তার দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, হুমায়ুন কবির লিটন সাহেবকে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতিতে সবসময় প্রয়োজন, যার কর্মে দল প্রসংশিত হবে তাকে দলের বড় কোন সম্মানজনক পোষ্ট দিয়ে সম্মানিত করা হলে দলের মান বাড়বে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে জনাব হুমায়ুন কবির লিটন বকাউল এর মত মানুষ প্রয়োজন আছে। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যিনি মানুষের বন্ধু তিনি দলেরও বন্ধু, তাকে দলীয় সম্মানে সম্মানিত করে দল মানব সেবায় উৎসাহিত করা হউক।