হাজীগঞ্জ, ১৮, শনিবার:
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ যখন দিশাহারা, তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা আদায় করছে। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চাঁদপুর শহরের কয়েকটি বাজার ও হাজীগঞ্জ উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার বাজারগুলোতে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আদা, রসুন, পিয়াজ, ছোলা, তেল, আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধির ফলে ক্রেতাদের মাঝে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আরো পড়ুন: হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীর ভর্তি
শুক্রবার দুপুরে শহরের ওয়্যারলেস বাজারে মহসিন সরদার, ফারুক গাজী, শফিউল্লাহ গাজীসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, দেশের কোথাও চালের সংকট নেই। শুধু চাঁদপুরে চালের সংকট দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম অনেক বেশি, দোকানে সব পণ্য পাওয়াও যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা তাদের গোডাউনে এসব মজুদ করে রেখেছেন। অতিরিক্ত মূল্য হওয়ায় চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য না কিনেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকটের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
ওয়ারলেছ বাজারে মাংস ব্যবসায়ীদের দোকানে গিয়ে দেখাগেলো মূল্য তালিকায় গরুর গোশত ৫৫০ টাকা। কিন্তু বিক্রি করছে ৬০০ টাকা। ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসা করা হয় মূল্য তালিকা একরকম আপনি রাখছেন বেশী দাম। তিনি বলেন, এভাবেই বিক্রি করতে হয়। সবাই এই দামেই বিক্রি করে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে শ্রমিক ও পরিবহন কমে যাওয়ায় মোকাম থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এমনকি পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। এর প্রভাব পড়েছে জেলার প্রান্তিক বাজারগুলোতে।