জেলায় জেলায় পুলিশের কড়া নজরদারিতে বিদেশ ফেরতরা

  • আপডেট: ১২:৩২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০
  • ১৮

নতুনেরকথা:

চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশব্যাপী আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে গেছেন।  ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫জন। মারা যাওয়া দুজন বিদেশফেরতদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন। বড় সুখবর হলো গত ২৪ ঘন্টায় দেশে একজনও আক্রান্ত হননি।

আক্রান্ত অধিকাংশই বিদেশ থেকে এসেছেন অথবা বিদেশফেরতদের সংস্পর্শে ছিলেন। এ অবস্থায়  বিদেশফেরতদের প্রাতিষ্ঠানিক ও বাড়িতে সঙ্গরোধে রাখা এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদেশফেরত এসব প্রবাসীদের কারণে যেন আর সংক্রমণ না হয়। সে বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। প্রবাসীদের ১৪ দিন করে হোম কোয়ারান্টাইনে (বাড়িতে সঙ্গরোধ) থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। নির্দেশনা না মানলেই করা হচ্ছে জেল জরিমানা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে নামানো হয়েছে পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, গোয়েন্দাসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ৩৩ হাজার ২০, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪ হাজার ৫৬৯, রাজশাহী মহানগরে ৯৪৯, খুলনা মহানগরে ২ হাজার ৪১৩, বরিশাল মহানগরে ১৩৩, সিলেট মহানগরে ৮৭০, ঢাকা জেলায় ১৪ হাজার ৩৮৯, চট্টগ্রাম জেলায় ২০ হাজার ১৮৪, রাজশাহী জেলায় ২ হাজার ৭৭৭, খুলনায় ৭ হাজার ৩২৬, নারায়ণগঞ্জে ৫ হাজার ৯৬০, কক্সবাজারে ২ হাজার ৫৬৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ হাজার ২৭৬, বাগেরহাটে ৩ হাজার ৭৮৬, মুন্সীগঞ্জে ৬ হাজার ৫৭৭, বান্দরবানে ২১৯, নওগাঁয় ২ হাজার ২০৪, সাতক্ষীরায় ১০ হাজার ২৬০, মানিকগঞ্জে ২ হাজার ৭১৯, রাঙামাটিতে ৩০০, নাটোরে ১ হাজার ৫০৭, যশোরে ১৬ হাজার ৪৫০, গাজীপুরে ৪ হাজার ৯৪১, খাগড়াছড়িতে ৩১৮, পাবনায় ৩ হাজার ৩৪৭, মাগুরায় ২ হাজার ৫২৫, নরসিংদীতে ৪ হাজার ৬১৯, নোয়াখালীতে ৬ হাজার ৯৪৪, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৯৪৪, নড়াইলে ২ হাজার ৬০৫, ফরিদপুরে ৪ হাজার ৭৪১, ফেনীতে ৪ হাজার ৮৯৫, বগুড়ায় ৩ হাজার ১২৯, ঝিনাইদহে ৪ হাজার ২১, রাজবাড়ীতে ১ হাজার ৯৬৮, লক্ষ্মীপুরে ৩ হাজার ৫৫৯, জয়পুরহাটে ৮৯১, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ১০৯, কুমিল্লায় ১৬ হাজার ৪০৭, শরীয়তপুরে ৩ হাজার ২১৯, রংপুরে ১ হাজার ৫৭৩ জন প্রবাসী প্রবেশ করেছেন।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ৯৯, মাদারীপুরে ৩ হাজার ৫৯৯, চাঁদপুরে ৫ হাজার ৯২০, গাইবান্ধায় ১ হাজার ২৬, মেহেরপুরে ১ হাজার ৩২৫, গোপালগঞ্জে ৪ হাজার ৩৩৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২ হাজার ৮৫, কুড়িগ্রামে ৬২১, কিশোরগঞ্জে ৩ হাজার ৪০, লালমনিরহাটে ৭৬৪, বরিশালে ৪ হাজার ২৬৬, টাঙ্গাইলে ৫ হাজার ৭৮৫, সিলেটে ৭ হাজার ৩৪৯, নীলফামারীতে ১ হাজার ২৫৯, পিরোজপুরে ২ হাজার ৩৩, ময়মনসিংহে ৩ হাজার ৬২৭, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ১৮, দিনাজপুরে ৩ হাজার ৮৮, ঝালকাঠিতে ১ হাজার ১১৯, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৮৬২, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৩৮৬, নেত্রকোনায় ১ হাজার ২৪, বরগুনায় ৯৩৭, শেরপুরে ৫৪০, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৪৮০, পঞ্চগড়ে ১ হাজার ৮৫, পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৩৩৪, ভোলায় ১ হাজার ৫৮৭ এবং জামালপুর জেলায় ১ হাজার ৩৩৮ জন প্রবাসী ঢুকেছেন।

এসব প্রবাসীরা কোনভাবেই যেন সরকারি নির্দেশনার বাহিরে এসে লোক সমাগমে মিশতে না পারেন, কারো সংস্পর্শে না যান এজন্য প্রশাসন কঠোর নজরদারিতে রেখেছে তাদের।

তবে সবাইকে যে সঙ্গরোধে রাখা যায়নি সে তথ্যটি অস্বীকার করছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে, এজন্যই নেওয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, ৬৪ জেলার পুলিশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি সদ্য বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের নজরদারিতে রেখেছে। যারা কথা শুনছেন না প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গিয়ে তাদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান নতুনেরকথাকে বলেন, চাঁদপুরে বিদেশ ফেরত প্রবাসিদের বাড়ীতে হোম কোয়ারিন্টেন লেখা ডিজিটাল ব্যানার লাগানো হয়েছে। কোন ভাবেই ১৪ দিনের পূর্বে তারা ঘর থেকে বের হতে পারবেননা।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

জেলায় জেলায় পুলিশের কড়া নজরদারিতে বিদেশ ফেরতরা

আপডেট: ১২:৩২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০

নতুনেরকথা:

চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশব্যাপী আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে গেছেন।  ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫জন। মারা যাওয়া দুজন বিদেশফেরতদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন। বড় সুখবর হলো গত ২৪ ঘন্টায় দেশে একজনও আক্রান্ত হননি।

আক্রান্ত অধিকাংশই বিদেশ থেকে এসেছেন অথবা বিদেশফেরতদের সংস্পর্শে ছিলেন। এ অবস্থায়  বিদেশফেরতদের প্রাতিষ্ঠানিক ও বাড়িতে সঙ্গরোধে রাখা এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদেশফেরত এসব প্রবাসীদের কারণে যেন আর সংক্রমণ না হয়। সে বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। প্রবাসীদের ১৪ দিন করে হোম কোয়ারান্টাইনে (বাড়িতে সঙ্গরোধ) থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। নির্দেশনা না মানলেই করা হচ্ছে জেল জরিমানা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে নামানো হয়েছে পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, গোয়েন্দাসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ৩৩ হাজার ২০, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪ হাজার ৫৬৯, রাজশাহী মহানগরে ৯৪৯, খুলনা মহানগরে ২ হাজার ৪১৩, বরিশাল মহানগরে ১৩৩, সিলেট মহানগরে ৮৭০, ঢাকা জেলায় ১৪ হাজার ৩৮৯, চট্টগ্রাম জেলায় ২০ হাজার ১৮৪, রাজশাহী জেলায় ২ হাজার ৭৭৭, খুলনায় ৭ হাজার ৩২৬, নারায়ণগঞ্জে ৫ হাজার ৯৬০, কক্সবাজারে ২ হাজার ৫৬৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ হাজার ২৭৬, বাগেরহাটে ৩ হাজার ৭৮৬, মুন্সীগঞ্জে ৬ হাজার ৫৭৭, বান্দরবানে ২১৯, নওগাঁয় ২ হাজার ২০৪, সাতক্ষীরায় ১০ হাজার ২৬০, মানিকগঞ্জে ২ হাজার ৭১৯, রাঙামাটিতে ৩০০, নাটোরে ১ হাজার ৫০৭, যশোরে ১৬ হাজার ৪৫০, গাজীপুরে ৪ হাজার ৯৪১, খাগড়াছড়িতে ৩১৮, পাবনায় ৩ হাজার ৩৪৭, মাগুরায় ২ হাজার ৫২৫, নরসিংদীতে ৪ হাজার ৬১৯, নোয়াখালীতে ৬ হাজার ৯৪৪, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৯৪৪, নড়াইলে ২ হাজার ৬০৫, ফরিদপুরে ৪ হাজার ৭৪১, ফেনীতে ৪ হাজার ৮৯৫, বগুড়ায় ৩ হাজার ১২৯, ঝিনাইদহে ৪ হাজার ২১, রাজবাড়ীতে ১ হাজার ৯৬৮, লক্ষ্মীপুরে ৩ হাজার ৫৫৯, জয়পুরহাটে ৮৯১, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ১০৯, কুমিল্লায় ১৬ হাজার ৪০৭, শরীয়তপুরে ৩ হাজার ২১৯, রংপুরে ১ হাজার ৫৭৩ জন প্রবাসী প্রবেশ করেছেন।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ৯৯, মাদারীপুরে ৩ হাজার ৫৯৯, চাঁদপুরে ৫ হাজার ৯২০, গাইবান্ধায় ১ হাজার ২৬, মেহেরপুরে ১ হাজার ৩২৫, গোপালগঞ্জে ৪ হাজার ৩৩৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২ হাজার ৮৫, কুড়িগ্রামে ৬২১, কিশোরগঞ্জে ৩ হাজার ৪০, লালমনিরহাটে ৭৬৪, বরিশালে ৪ হাজার ২৬৬, টাঙ্গাইলে ৫ হাজার ৭৮৫, সিলেটে ৭ হাজার ৩৪৯, নীলফামারীতে ১ হাজার ২৫৯, পিরোজপুরে ২ হাজার ৩৩, ময়মনসিংহে ৩ হাজার ৬২৭, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ১৮, দিনাজপুরে ৩ হাজার ৮৮, ঝালকাঠিতে ১ হাজার ১১৯, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৮৬২, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৩৮৬, নেত্রকোনায় ১ হাজার ২৪, বরগুনায় ৯৩৭, শেরপুরে ৫৪০, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৪৮০, পঞ্চগড়ে ১ হাজার ৮৫, পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৩৩৪, ভোলায় ১ হাজার ৫৮৭ এবং জামালপুর জেলায় ১ হাজার ৩৩৮ জন প্রবাসী ঢুকেছেন।

এসব প্রবাসীরা কোনভাবেই যেন সরকারি নির্দেশনার বাহিরে এসে লোক সমাগমে মিশতে না পারেন, কারো সংস্পর্শে না যান এজন্য প্রশাসন কঠোর নজরদারিতে রেখেছে তাদের।

তবে সবাইকে যে সঙ্গরোধে রাখা যায়নি সে তথ্যটি অস্বীকার করছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে, এজন্যই নেওয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, ৬৪ জেলার পুলিশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি সদ্য বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের নজরদারিতে রেখেছে। যারা কথা শুনছেন না প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গিয়ে তাদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান নতুনেরকথাকে বলেন, চাঁদপুরে বিদেশ ফেরত প্রবাসিদের বাড়ীতে হোম কোয়ারিন্টেন লেখা ডিজিটাল ব্যানার লাগানো হয়েছে। কোন ভাবেই ১৪ দিনের পূর্বে তারা ঘর থেকে বের হতে পারবেননা।