সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে: হাজীগঞ্জে চারাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হামলা অভিযোগ, আহত-২

  • আপডেট: ০২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০
  • ২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে নিজ দখলীয় ভূমি থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলার খবর পাওয়া গেছে। সম্পত্তিগত বিরোধে রোববার দুপুরে উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের হাজী বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় শাহিন সুলতানা ও তার ছেলে শাকিল আহম্মেদ আহত হয়েছেন।

আহত শাহিন সুলতানা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার ছেলে শাকিল আহম্মেদ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি ওই বাড়ীর আলম প্রধানীয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় শাহিন সুলতানা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (নং- ১০৫১) দিয়েছেন। অভিযোগের বিবাদীরা হলেন, একই বাড়ীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলম (৩৫) ও জাহিদ (৩০) এবং মৃত আবিদ আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদী শাহিন সুলতানার পরিবারের সাথে বিবাদীদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। রোববার দুপুরে নিজ দখলীয় ভূমি থেকে বাদীর ছেলে শাকিল আহম্মেদ একটি চারাগাছ কাটার সময় বিবাদীরা (শাকিল, জাহিদ ও আনোয়ার হোসেন) বাধা প্রদান করে। এতে শাহিন সুলতানা ও শাকিল আহমেদ প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী খোরশেদ আলম ‘দা’ নিয়ে বাদী শাহিন সুলতানা ও তার ছেলে শাকিলের দিকে এগিয়ে আসে এবং তাদেরকে হত্যা করে বাড়ী-ঘর থেকে উচ্ছেদ করাসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এ ছাড়াও অপর দুই বিবাদী জাহিদ ও আনোয়ার হোসেন লাঠি-সোটা হাতে নিয়ে বাদী ও তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম এবং সম্পত্তি দখলের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়।

উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করে বিবাদী খোরশেদ আলম বলেন, শাহিন সুলতানার পরিবারের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছে। পরবর্তীতে শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা তাদের সাথে আপোষ-মিমাংসা করি।

তিনি আরো বলেন, ওই আপোষের শর্তাবলীতে আমাদের গাছ আমরা কেটে নিতে পারবো বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু তারা (শাহিন সুলতানা) আজকে (রোবাবার) দুপুরে গাছ কেটে নিতে আসে। এতে আমরা বাধা প্রদান করি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিন সুলতানা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে কিটনাশক পানে স্কুলছাত্রীর আ ত্ম হ ত্যা!

সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে: হাজীগঞ্জে চারাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হামলা অভিযোগ, আহত-২

আপডেট: ০২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে নিজ দখলীয় ভূমি থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলার খবর পাওয়া গেছে। সম্পত্তিগত বিরোধে রোববার দুপুরে উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের হাজী বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় শাহিন সুলতানা ও তার ছেলে শাকিল আহম্মেদ আহত হয়েছেন।

আহত শাহিন সুলতানা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার ছেলে শাকিল আহম্মেদ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি ওই বাড়ীর আলম প্রধানীয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় শাহিন সুলতানা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (নং- ১০৫১) দিয়েছেন। অভিযোগের বিবাদীরা হলেন, একই বাড়ীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলম (৩৫) ও জাহিদ (৩০) এবং মৃত আবিদ আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদী শাহিন সুলতানার পরিবারের সাথে বিবাদীদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। রোববার দুপুরে নিজ দখলীয় ভূমি থেকে বাদীর ছেলে শাকিল আহম্মেদ একটি চারাগাছ কাটার সময় বিবাদীরা (শাকিল, জাহিদ ও আনোয়ার হোসেন) বাধা প্রদান করে। এতে শাহিন সুলতানা ও শাকিল আহমেদ প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী খোরশেদ আলম ‘দা’ নিয়ে বাদী শাহিন সুলতানা ও তার ছেলে শাকিলের দিকে এগিয়ে আসে এবং তাদেরকে হত্যা করে বাড়ী-ঘর থেকে উচ্ছেদ করাসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এ ছাড়াও অপর দুই বিবাদী জাহিদ ও আনোয়ার হোসেন লাঠি-সোটা হাতে নিয়ে বাদী ও তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম এবং সম্পত্তি দখলের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়।

উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করে বিবাদী খোরশেদ আলম বলেন, শাহিন সুলতানার পরিবারের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছে। পরবর্তীতে শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা তাদের সাথে আপোষ-মিমাংসা করি।

তিনি আরো বলেন, ওই আপোষের শর্তাবলীতে আমাদের গাছ আমরা কেটে নিতে পারবো বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু তারা (শাহিন সুলতানা) আজকে (রোবাবার) দুপুরে গাছ কেটে নিতে আসে। এতে আমরা বাধা প্রদান করি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিন সুলতানা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।