ক্রীড়া ডেস্ক:
এবারের বিশ্বকাপের কথা বাদ দিলে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং সামর্থ্যের চেয়ে বোলিং সামর্থ্যই বড় করে দেখা হতো। দেখা হতো বলে নয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিসংখ্যানে ব্যাটসম্যান সাকিবের চেয়ে বরাবরই এগিয়ে বোলার সাকিব। কিন্তু ভারতের কিংবদন্তি পেসার জহির খান ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার এই পরিসংখ্যানের বিপক্ষে কথা বললেন।সাকিবকে অলরাউন্ডার মানতেই আপত্তি জহিরের। ভারতের সাবেক তারকা পেসার মনে করেন, সাকিব আসলে খুব বড় মাপের একজন ব্যাটসম্যান। যে কিনা বোলিংটাও দুর্দান্ত করতে পারেন।
বিশ্বকাপে গতকাল উইন্ডিজকে প্রায় একাই হারিয়ে দিলেন সাকিব। বল হাতে নিয়েছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট। ব্যাট হাতে ৯৯ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত অসাধারণ এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন সাকিব। কালকের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার সময় কথাগুলো বলেন জহির খান।
ভারতীয় পেসার বলেন, ‘সাকিবকে তিনে ব্যাটিং করতে দেওয়ার কৌশলটা খুবই কাজে লেগেছে বাংলাদেশের। এটা খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত ছিল। এটাকে খুব কার্যকরী সিদ্ধান্ত বলা যায়। এতদিন সাকিবকে বাংলাদেশ একজন অলরাউন্ডারের দৃষ্টিতে দেখে এসেছে। এখন এসে দেখা গেল ও যত বেশি না একজন অলরাউন্ডার তার চেয়ে বড় মাপের ব্যাটসম্যান। ও হচ্ছে এমন একজন ব্যাটসম্যান যে একই সাথে ভালো বোলিংও করতে পারে।’
জহিরের কথায় সুর মিলিয়েছেন হার্শা ভোগলে। তিনি বলেন, ‘(বিশ্বকাপে) আপনি ওর স্কোরগুলো কেবল দেখেন – ১২৪, ১২১, ৬৪ ও ৭৫। এই স্কোরগুলো দেখে মনে হতে পারে ও মূলত একজন ব্যাটসম্যান, যে কি না বোলিং করতে পারে। ও রোজ আপনার জন্য ১০টা ওভার বোলিং করে দিবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওর বোলিং ফিগার দেখলে সাদামাটা মনে হতে পারে। কিন্তু ও আসলে শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু শেষে একটু রান দিয়ে ফেলে। এর বাইরে ৪৭ রানে দুই উইকেট, ৫০ রানে এক উইকেট সবগুলো পারফরম্যান্সই দারুণ ছিল।’
হার্শা আরও বলেন, ‘ও মূলত একজন ব্যাটসম্যান। তবে আবারো বলতে হবে যে ওর বোলিংটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রতি ম্যাচে ১০ ওভার বল করে। ও একজন পরিপূর্ণ ১০ ওভারের বোলার।’