অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর মিরপুরে আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক কথিত পিরের সহযোগী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পিরের আস্তানা থেকে পুলিশ দুই তরুণীকেও উদ্ধার করেছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সোমবার এ তথ্য জানান। রবিবার রাতে রহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি মহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে ফকির মজনু শাহ (৪৭) নামে এক কথিত পিরের সহযোগী।
ওসি বলেন, তিন বছর আগে মধ্য পাইকপাড়ার একটি বাড়িতে ওঠেন ফকির মজনু শাহ এবং তার সহযোগী আব্দুর রহিম। তারা বাড়ির মালিককে নানাভাবে প্রভাবিত করে ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া না দিয়ে আস্তানা বানায়।
তিনি জানান, এক নারী (৬৫) কথিত পৌর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে আটকে রেখে টাকা দাবির অভিযোগ করেন। ওই নারীর ভাষ্যমতে- গত ২৫ ডিসেম্বর তার মেয়ের জামাই শারীরিক সমস্যা জনিত কারণে চিকিৎসার জন্য পিরের আস্তানায় মেয়েকে রেখে আসে। এর এক মাস পর গত ২৫ জানুয়ারি তিনি তার মেয়েকে দেখতে পিরের আস্তানায় গেলে তাকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি। রবিবার আবারও মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পির ও তার সহযোগীরা দেড় লাখ টাকা দাবি করে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়।
ওসি বলেন, ওই নারী বিষয়টি পুলিশকে জানালে পিরের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশ আসার খবর শুনে কথিত পির আগেই পালিয়ে গেলেও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পিরের আস্তানা থেকে ওই নারীর মেয়েসহ ২ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ওই কথিত পার নারীদের মগজ ধোলাই করে নানা কৌশলে তাদের সম্ভ্রমহানি করত। আবার কখনো আস্তানায় আটকে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা আদায় করত। গ্রেপ্তার হওয়া রহিম এ বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তবে আস্তানা থেকে উদ্ধার করা তরুণী দুজন তাদের সঙ্গে কোন অশালীন আচরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে ফকির মজনু শাহকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।