বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি

  • আপডেট: ১০:১১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৭

notunerkotha.com

বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসি জানিয়েছেন মাঠ বহির্ভূত সমস্যায় পড়ে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে তিনি স্পানিশ ক্লাবটি ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন।

মেসি ২০১৪ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে পড়েছিলেন। সে সময় আর্জেন্টাইন ফুটবলারটি ও তার বাবার বিরুদ্ধে ৩১ লাখ পাউন্ড কর ফাঁকির অভিযোগ তুলেছিল স্পানিশ কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত উভয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এমনকি তখন মেসিকে ২১ মাসের স্থগিত কারা দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এ শাস্তি কমিয়ে দুই লাখ ২৩ হাজার পাউন্ডে নামিয়ে আনা হয়েছিল।

স্পানিশ গণমাধ্যম এএসকে ফিফার বর্ষসেরা এই ফুটবলার বলেন, এরকম তদন্তের কারণে তিনি ভিন্নভাবে ভাবতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো কারণে তখন কখনো কখনো আমি ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এমন সময়ও এসেছিল যখন কর কর্তৃপক্ষের সাথে আমার সমস্যা দেখা দিয়েছিল।’

মেসি আরো বলেন, ‘এত কিছুর মধ্যেও ভালো দিক ছিল তখন আমার সন্তানদের ছোটো থাকা। তারা কিছুই বুঝতো না। তবে আমাদের খারাপ সময় যাচ্ছিল। সে সময় আমার মনে চলে যাওয়ার ভাবনা এসেছিল। আমি বার্সার কারণে চলে যেতে চাইনি। চলে যেতে চেয়েছিলাম ঘটমান অন্য কারণগুলোর প্রেক্ষিতে।’

আর্জেন্টাইনটির বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চান, এমন আলোচনা কদাচিৎই হয়। তিনি এ ক্লাবের একাডেমি থেকেই বেরিয়ে এসে ক্যাম্প ন্যুর সেরাদের একজনে পরিণত হয়েছেন। একমাত্র সম্ভাব্য যে ক্লাব বদলের কথা তিনি ভেবেছিলেন সেটা হলো ছোটো বেলার দল আর্জেন্টিনার নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস এ ফিরে যাওয়া। মাত্র ছয় বছর বয়সে এ ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

বার্সেলোনার সাথে ৩২ বছর বয়সি এই খেলোয়াড়ের সম্পর্ক এমন যে তাকে ইউরোপের অন্য কোনো ক্লাবের জার্সিতে কল্পনা করাও কঠিন। ২০০৪ সালে এই ক্লাবের সিনিয়র দলে অভিষেকের পর মেসি সাফল্য ধারার মধ্যেই আছেন। তিনি লা লিগা জিতেছেন ১০ বার। এছাড়াও ক্লাবটির হয়ে চারবার জিতেছেন উয়েফার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সর্বশেষ স্বীকৃতিটি পান তিনি গত মাসেই ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়ে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি

আপডেট: ১০:১১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯

notunerkotha.com

বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসি জানিয়েছেন মাঠ বহির্ভূত সমস্যায় পড়ে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে তিনি স্পানিশ ক্লাবটি ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন।

মেসি ২০১৪ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে পড়েছিলেন। সে সময় আর্জেন্টাইন ফুটবলারটি ও তার বাবার বিরুদ্ধে ৩১ লাখ পাউন্ড কর ফাঁকির অভিযোগ তুলেছিল স্পানিশ কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত উভয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এমনকি তখন মেসিকে ২১ মাসের স্থগিত কারা দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এ শাস্তি কমিয়ে দুই লাখ ২৩ হাজার পাউন্ডে নামিয়ে আনা হয়েছিল।

স্পানিশ গণমাধ্যম এএসকে ফিফার বর্ষসেরা এই ফুটবলার বলেন, এরকম তদন্তের কারণে তিনি ভিন্নভাবে ভাবতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো কারণে তখন কখনো কখনো আমি ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এমন সময়ও এসেছিল যখন কর কর্তৃপক্ষের সাথে আমার সমস্যা দেখা দিয়েছিল।’

মেসি আরো বলেন, ‘এত কিছুর মধ্যেও ভালো দিক ছিল তখন আমার সন্তানদের ছোটো থাকা। তারা কিছুই বুঝতো না। তবে আমাদের খারাপ সময় যাচ্ছিল। সে সময় আমার মনে চলে যাওয়ার ভাবনা এসেছিল। আমি বার্সার কারণে চলে যেতে চাইনি। চলে যেতে চেয়েছিলাম ঘটমান অন্য কারণগুলোর প্রেক্ষিতে।’

আর্জেন্টাইনটির বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চান, এমন আলোচনা কদাচিৎই হয়। তিনি এ ক্লাবের একাডেমি থেকেই বেরিয়ে এসে ক্যাম্প ন্যুর সেরাদের একজনে পরিণত হয়েছেন। একমাত্র সম্ভাব্য যে ক্লাব বদলের কথা তিনি ভেবেছিলেন সেটা হলো ছোটো বেলার দল আর্জেন্টিনার নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস এ ফিরে যাওয়া। মাত্র ছয় বছর বয়সে এ ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

বার্সেলোনার সাথে ৩২ বছর বয়সি এই খেলোয়াড়ের সম্পর্ক এমন যে তাকে ইউরোপের অন্য কোনো ক্লাবের জার্সিতে কল্পনা করাও কঠিন। ২০০৪ সালে এই ক্লাবের সিনিয়র দলে অভিষেকের পর মেসি সাফল্য ধারার মধ্যেই আছেন। তিনি লা লিগা জিতেছেন ১০ বার। এছাড়াও ক্লাবটির হয়ে চারবার জিতেছেন উয়েফার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সর্বশেষ স্বীকৃতিটি পান তিনি গত মাসেই ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়ে।