অনলাইন ডেস্ক:
ছয় মাস দণ্ডিত সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সম্রাটের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফজালুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন । সম্রাট এখন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটেরই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ডা. আফজালুর রহমান বলেন, আজ সকালে সম্রাটকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিসিইউয়ে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার বিষয়ে আমরা একটা ইনফরমাল মেডিকেল টিম গঠন করেছি। যেখানে আমাদের কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিওলজিস্ট সার্জন রয়েছেন। যেহেতু তিনি অবজারভেশনে আছেন তাই আমরা আপাতত উনাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা কথা বলতে পারব।’
ডা. আফজাল আরো বলেন, ‘সম্রাটের শারিরীক অবস্থা এখন স্ট্যাবল আছে। তবে রোগী অবজারভেশনে থাকবে। আমরা ফলোআপ রিপোর্ট আপনাদের জানাব। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। আপাতত ইমারজেন্সি ইনফরমাল মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।’
ডা. আফজালুর রহমান আরো বলেন, ‘১৯৯৮ সালে সম্রাটের হার্টের একটা বাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করেছিলেন। আমরা ইতিমধ্যে পরীক্ষা করে দেখেছি ওনার বাল্বটা ভালো কাজ করছে। ওনার শারীরিক অবস্থার অন্য দিকগুলোও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যেহেতু তিনি ব্যথার কথা বলেছেন, তাই আমরা তার ব্যথার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার চেষ্টা করছি- ব্যথাটা ঠিক কতটুকু মারাত্মক বা সহনশীল।’
এর আগে সকালে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে সম্রাটকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে নেয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। বুকে ব্যথা থাকায় তাকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সম্রাটকে এনআইসিভিডিতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে মুনীর হোসেন চৌধুরীর বাসা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যা ব। পরে তাদের ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যা ব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে বাসা ও কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যা ব।
কাকরাইল কার্যালয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এ আদেশ দেন। পরে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার হওয়ায় এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।