অনলাইন ডেস্ক:
চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার ভোর ৫টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্রাটের সহযোগী কে এই আরমান?
তার পুরো নাম এনামুল হক আরমান। ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি। বাড়ি নোয়াখালীতে।
আরমানের উত্থান ঘটে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে। পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে লাগেজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য এনে বায়তুল মোকাররমে বিক্রি করতেন।
আরমান একসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয় ‘বাউন্ডারি ইকবাল’ হিসেবে পরিচিত ইকবাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ইকবালের যাতায়াত ছিল হাওয়া ভবনে। তার মাধ্যমে আরমানও হাওয়া ভবনঘনিষ্ঠ হন। শামিল হন বিএনপির রাজনীতিতে। পদ-পদবি না থাকলেও হাওয়া ভবনঘনিষ্ঠ বলে মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন তিনি। বিএনপি আমলেই আরমান ফকিরাপুলের কয়েকটি ক্লাবের জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন।
আরো পড়ুন :কুমিল্লা থেকে যুবলীগ নেতা সম্রাট আটক
বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হলে যুবলীগের মিছিলে হাজির হতে শুরু করেন আরমান। ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সম্রাটের। সম্রাট ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হলে সহ-সভাপতি করা হয় আরমানকে।
সম্রাটের ক্যাসিনোর টাকার সংগ্রাহক তথা ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত আরমান। মূলত তার মাধ্যমেই ক্যাসিনোজগতে প্রবেশ ঘটে সম্রাটের। ক্যাসিনো কারবারে আরমানকে গুরু বলে মানেন সম্রাট।
আরমান একসময় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় লাগেজ আনার ব্যবসা করতেন। সে সুবাদে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনোর সঙ্গে পরিচয় ঘটে আরমানের। পরবর্তী সময়ে সম্রাটকে এই লাভজনক কারবারের ধারণা দেন তিনি। সম্রাটঘনিষ্ঠ যুবলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আরমান নিজের টাকা দিয়ে প্রথমে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কিনে আনেন ঢাকায়।