প্রেম করতে বারণ করায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো কিশোরী

  • আপডেট: ০২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৫

অনলাইন ডেস্ক:

প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ে। এ ঘটনায় জড়িত মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নাজনীন আক্তার (৪৫) আগমাড়াই গ্রামের মান্নান মৃধার স্ত্রী।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরীর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় পরিবারের সদস্যরা। এ সময় মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ছিল কিশোরী। এরই মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মা নাজনীন আক্তারের আহতের খবর পান পরিবারের সদস্যরা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজনীন আক্তারকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে নাজনীন আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে আনার পথে মানিকগঞ্জ পৌঁছালে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাজনীন আক্তারের মৃত্যু হয়। এরপর তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। নাজনীন এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী ছিলেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজনীনের মেয়েকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মাকে হত্যার বর্ণনা দেয় ওই কিশোরী।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) রেজাউল করিম বলেন, অভিযুক্ত কিশোরীর সঙ্গে মাসুদ নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবাইলে প্রেমিক মাসুদের সঙ্গে ঝগড়া হয় কিশোরীর। এ কারণে তার মন খারাপ ছিল। পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে উল্টাপাল্টা কথা বলেছিল সে। ওই সময় মা নাজনীন আক্তার প্রেমের বিষয় নিয়ে মেয়েকে আজেবাজে কথা বলেন এবং প্রেম করতে বারণ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের দরজা আটকে ধারালো বটি দিয়ে মা নাজনীন আক্তারকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মেয়ে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মায়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রেম করতে বারণ করায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো কিশোরী

আপডেট: ০২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ে। এ ঘটনায় জড়িত মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নাজনীন আক্তার (৪৫) আগমাড়াই গ্রামের মান্নান মৃধার স্ত্রী।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরীর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় পরিবারের সদস্যরা। এ সময় মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ছিল কিশোরী। এরই মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মা নাজনীন আক্তারের আহতের খবর পান পরিবারের সদস্যরা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজনীন আক্তারকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে নাজনীন আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে আনার পথে মানিকগঞ্জ পৌঁছালে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাজনীন আক্তারের মৃত্যু হয়। এরপর তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। নাজনীন এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী ছিলেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজনীনের মেয়েকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মাকে হত্যার বর্ণনা দেয় ওই কিশোরী।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) রেজাউল করিম বলেন, অভিযুক্ত কিশোরীর সঙ্গে মাসুদ নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবাইলে প্রেমিক মাসুদের সঙ্গে ঝগড়া হয় কিশোরীর। এ কারণে তার মন খারাপ ছিল। পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে উল্টাপাল্টা কথা বলেছিল সে। ওই সময় মা নাজনীন আক্তার প্রেমের বিষয় নিয়ে মেয়েকে আজেবাজে কথা বলেন এবং প্রেম করতে বারণ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের দরজা আটকে ধারালো বটি দিয়ে মা নাজনীন আক্তারকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মেয়ে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মায়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।