বিশ্বকাপের ১২তম আসরের দ্বিতীয় দিনে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-উইন্ডিজ। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ দলপতি জেসন হোল্ডার। ২১.৪ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তান তুলেছে মাত্র ১০৫ রান।
আজ শুক্রবার (৩১ মে) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে শুরু হয় ম্যাচটি। ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন ইমাম উল হক এবং ফখর জামান। শেলডন কট্রেলের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ বলে ২ রান করা ইমাম উল হক। আরেক ওপেনার ফখর জামানকে বিদায় করেন আন্দ্রে রাসেল। ১৬ বলে দুটি চার আর এক ছয়ে ২২ রান করে বোল্ড হন ফখর জামান।
দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন হারিস সোহেল। ব্যক্তিগত ৮ রানে রাসেলের বলে উইকেটের পেছনে শাই হোপের গ্লাভসে ধরা পড়েন সোহেল। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ওশানে থমাসের বলে বাবর আজম ক্যাচ তুলে দেন শাই হোপের হাতে। বাবর আজমের ৩৩ বলে ২২ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় পাকিস্তানের দলপতি সরফরাজ আহমেদ এবং ৭৭ রানের মাথায় ইমাদ ওয়াসিম বিদায় নেন। ১৭তম ওভারে হোল্ডার ফিরিয়ে দেন সরফরাজ (৮) এবং ইমাদ ওয়াসিমকে (১)।
১৮তম ওভারে ওশানে থমাস ফেরান শাদাব খানকে। ১৯তম ওভারে হাসান আলিকে বিদায় করেন হোল্ডার আর ২০তম ওভারে থমাস ফিরিয়ে দেন ১৬ রান করা মোহাম্মদ হাফিজকে।
বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজ, আর ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরানের খানের পাকিস্তান। দুই দলের অবস্থান আইসিসির প্রকাশিত সবশেষ র্যাংকিংয়ে উইন্ডিজ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে আছে পাকিস্তান। ৯৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ওডিআই র্যাংকিংয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে আছে পাকিস্তান আর ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে ৮ম স্থানে উইন্ডিজ।
শেষ ১৯৭৯ সালে কিংবদন্তি অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের হাত ধরে জোড়া শিরোপা জিতেছিল উইন্ডিজ দল। তবে এরপরে আর শিরোপার স্বাদ উপভোগ করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে ১৯৯২ সালে আর এক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরানের খানের নেতৃত্বে প্রথম এবং শেষবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান।