আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টাকে বেআইনি ও মানবতাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করছে ইরান।
বুধবার রাতে টুইটারে দেয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ বেআইনি ও মানবতাবিরোধী।
ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যায়িত করে জারিফ বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাধারণ জনগণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তারা চাপ প্রয়োগ করে আমাদের আলোচনায় বসাতে চায় কিন্তু তেহরান এমন কোনো চাপের সামনে নতিস্বীকার করবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, খাদ্য ও ওষুধ আমদানির জন্য আর্থিক লেনদেনের পথ বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে।
এক টুইটে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট বৃদ্ধি করার জন্য মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনির্দিষ্ট, শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপগুলো ঘোষিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
গত জুনে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় আগেরগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশাল এক তালিকা তৈরি হয়েছে। খামেনি ছাড়াও দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর আট জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সই করা পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তেহরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তি থেকে সরে আসার মাস ছয়েক পর ইরানের তেল রফতানি ও অর্থনৈতিক লেনদেনের টুঁটি চেপে ধরতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।