শরীফুল ইসলাম:
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চার দিনব্যাপী ভরত নাট্যদল কর্মশালার সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমি ভবনে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদপত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ মো. আয়াজ মাবুদের পরিচলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী।
জেলা প্রশাসক বক্তব্যে বলেন, সংস্কৃতির কোন সীমা রেখা নেই, সঙ্গীত ও নিত্য যারা পরিচালনা করেন, তখন কিন্ত তারা তাদের শিল্পকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। শিল্পি এবং শিল্প উভয়ই একাকার হয়ে কাজ করেন। ভারত থেকে যিনি এখানে প্রশিক্ষক হিসেবে এসেছেন তিনি সত্যিই একজন উঁচু মানের নিত্য প্রশিক্ষক।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে সাংস্কৃতিক অঙ্গন অনেক সমৃদ্ধ। এখানে নিয়মিত প্রশিক্ষন নিয়ে অনেকেই জাতিয় পর্যায়ে চাঁদপুরের সুনাম বয়ে এনেছেন। তিনি আসা প্রকাশ করে বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। বিশেষ করে চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে ভারতের অনেক গুলো সংগঠনের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা চাঁদপুরে মুজিববর্ষ ও উন্নয়ন মেলায় সৃজনশীলকে উপস্থাপন করা হবে। আমরা চাঁদপুরের প্রতিটি সোনার মানুষকে তুলে ধরতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষন চন্দ্র সূত্রধর, কবি ও লেখক ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য শরীফ চৌধুরী, রূপালী চম্পক, সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরন।
চার দিনব্যাপী ভরত নাট্যদল কর্মশালায় প্রশিক্ষকক ছিলেন ভারত থেকে আগত মধুমিতা পাল। এতে মোট ৪২জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ গ্রহন করে। সমপানীদিনে প্রশিক্ষনার্থীরা নৃত্য পরিবেশন ও সনদপত্র করেন অতিথিদের কাছ থেকে।