ক্রীড়া ডেস্ক:
প্রায় ৯ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি শুরু হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। এই টেস্টে বাংলাদেশ দলে দেখা যেতে পারে নতুন মুখ। স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে অতিরিক্ত খেলোয়াড়ও।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। জানিয়েছেন দল নিয়ে ভাবনা।
তিনি বলেন, টেস্ট দল নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে কোচ (রাসেল ডমিঙ্গো) এবং অধিনায়কের (সাকিব আল হাসানের) সঙ্গে। মোটামুটি আলোচনা করেছি, কেমন হতে পারে। আমরা একটু সময় নিচ্ছি যেহেতু আমাদের ঘরের মাটিতে খেলা। সম্ভবত ৩০ অথবা ৩১ তারিখে মূল দলটি ঘোষণা করতে পারবো।
কত সদস্যের দল ঘোষণা হবে সেটি নিয়ে ছিল প্রশ্ন। উত্তরে হাবিবুল বাশার বলেন, যেহেতু একমাত্র টেস্ট তাই ১৪ সদস্য নিয়ে দল গঠন করা হবে। হয়তো এক জন দু’জন যোগও করতে পারি। এখনও নির্ধারণ হয়নি, ১৫ জনও হতে পারে ১৬ জনও হতে পারে।
বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যর্থ হবার পর কিছু দিনের জন্য বিরতি নিয়েছেন দলের নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল। দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যানকে ছাড়া ওপেনিং ভাবনা কি?
সুমন বলেন, আমাদের নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল খেলছেন না। তামিমতো আমাদের হয়ে অনেক দিন ওপেন করছেন।
তিনিই সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ ও প্রমাণিত খেলোয়াড়। সঙ্গে এক জন নতুন ওপেনার খেলিয়েছিলাম। সাদমান ইসলাম। তিনি কিন্তু বেশ ভালোই করেছেন। আসলে এখনও আমরা কোনও সিদ্ধান্তে আসিনি, যে আমরা পুরোনো কাউকে দেখব নাকি নতুন ব্যাটসম্যান নিয়ে এসে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নতুন জুটি তৈরি করব। সেটা নিয়েই আমাদের আলোচনা চলছে।
২৪ বছর বয়সী সাদমান ক্যারিয়ারে তিনটি টেস্টে অংশ নিয়েছেন। বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যানকেই কি তাহলে পুরোনো বলা হচ্ছে? জবাবে হেসে সুমন বলেন, আপনারা জানেন গেল মৌসুমে সে খারাপ করেনি। বেশ ভালাই করেছে। ম্যাচের দিকে দেখেন, সে কিন্তু মাত্রই শুরু করেছে।
ওইভাবে তেমন অভিজ্ঞ নয়। সঙ্গে তামিম থাকায় তার ওপর চাপটা কম ছিল। নতুন একজন ওপেনার দিয়ে শুরু করব কি না সেটা চিন্তায় রয়েছে। আবার পুরানোদের মধ্যে কাউকে নিয়ে তরুণ একজনের সঙ্গে ওপেন করানো চিন্তাও রয়েছে। এরকম কিছু বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করছি তাই স্কোয়াড ঘোষণায় দেরি হচ্ছে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ইর্মাজিং দল। সেখানে নিয়মিত পারফরম্যান্স করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। সে দিকেও বিশেষ খেয়াল রয়েছে নির্বাচকদের।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, কিছু খেলোয়াড়দের দিকে আমাদের বিশেষ নজর থাকেই। শান্তকে নিয়ে আমারা ভেবেছিলাম। সে খেলেছিলও (জাতীয় দলে)। যদিও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। সে কিন্তু এই সিরিজটাতে ভালো খেলেছে।
ভারতেও সে বেশ ভালো ব্যাটিং করে এসেছে। ওইভাবে চিন্তা করলে তার ব্যাপারে আমরা বেশ সন্তুষ্ট। আফিফও ভালো খেলেছে। রেজাল্টটা ভালো হয়নি। ২-১ এ হেরেছি। তাদের (লঙ্কান) দলটা বেশ শক্তিশালী। তবে কিছু খেলোয়াড় আমাদের সন্তুষ্ট করেছে।
আমরা সবসময় অনেকের কাছে প্রত্যাশা থাকে। অনেক সময় সেগুলো পূরণ হয় না। সব মিলিয়ে বলবো এই সব সিরিজগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় আমাদের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের অবস্থান কি।